সিম ক্লোনিং চক্রের হোতা গ্রেফতার

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৬  জানুয়ারি  ২০১৭

সিম ক্লোনিং চক্রের হোতা গ্রেফতার

সিম ক্লোনিং চক্রের হোতা গ্রেফতার

মাত্র ১৫ দিনে সরকারি বিভিন্ন ঊধ্বর্তন কর্মকর্তার মুঠোফোন নম্বর ক্লোনিং (কপি) করে ৩৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া সাইবার ক্রাইম প্রতারক চক্রের অন্যতম হোতা শহীদুল ইসলাম ওরফে সাইদুলকে গ্রেফতার করেছে বরিশাল জেলা পুলিশ।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্স ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান সাইবার ক্রাইম প্রতারক শহীদুল ইসলাম ওরফে সাইদুলকে গ্রেফতারের বিষয়টি জানান।

এসময় সরকারি কর্মকর্তাদের মুঠোফোন নম্বর ক্লোনিং করে সাইবার ক্রাইমের মাধ্যমে বিশেষ করে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল অবহিত করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এসএম আক্তারুজ্জামান বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শনিবার ঢাকার গাজীপুরের কাশীমপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের সাইবার বিশেষজ্ঞ দল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ ধরনের লেনদেন না করার জন্য সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

পুলিশ সুপার বলেন, গত পহেলা জানুয়ারি থেকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত বরিশালের জেলা প্রশাসকসহ বাবুগঞ্জ, উজিরপুর, বানারীপাড়া, আগৈলঝাড়া ও হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোন নম্বর ক্লোনিং করে সরকারের একজন সচিবকে জড়িয়ে জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজী করে ওই সাইবার ক্রাইম প্রতারকরা।

সবশেষ গত ১০ জানুয়ারি হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু জাফর রাশেদের মুঠোফোন নম্বর ক্লোনিং করে একই উপজেলার হিজলা-গৌরবদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মিলনের কাছে ৫০টন টিআর বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে একজন সচিবের নামে ৫০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে আদায় করে ওই সাইবার প্রতারকরা।

পরে ওই চেয়ারম্যান ইউএনও`র সঙ্গে কথা বললে তিনি প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এ ঘটনায় ওইদিনই তিনি হিজলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলার সূত্র ধরে জেলা পুলিশের বিশেষ দল সাইবার প্রতারক চক্রের অন্যতম হোতা লালমনিরহাটের আদিতমারী থানার পলাশী গ্রামের শহীদুল ইসলাম ওরফে সাইদুলকে গাজীপুরের কাশীমপুর থেকে গ্রেফতার করে।

মূলত সাইবার প্রতারক চক্রের ঘাঁটি রাজৈর এবং লালমনিরহাট জেলায়। তারা বেশিরভাগ সময় ঢাকার বাড্ডা এবং গাজীপুরের টঙ্গিতে অবস্থান করে।

 

পুলিশ সুপার জানান, এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Related posts