সার্বিক খাদ্য ব্যাবস্থাপনাকে অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে : খাদ্যমন্ত্রী

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১ মার্চ  ২০১৭

সার্বিক খাদ্য ব্যাবস্থাপনাকে অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে : খাদ্যমন্ত্রী

সার্বিক খাদ্য ব্যাবস্থাপনাকে অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে : খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে খাদ্য ব্যাবস্থাপনাকে ঢেলে সাজানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

খাদ্য বিতরণ পদ্ধতিকে অনলাইন মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল পথে চলছে। তাই সার্বিক খাদ্য ব্যাবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজড করে আমরা তা অনলাইনের আওতায় আনতে চাই।’

খাদ্যমন্ত্রী আজ বুধবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে খাদ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘ফুড স্টক এন্ড মার্কেট মনিটরিং সিস্টেম-মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ প্রোজেক্ট’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ কথা বলেন।

খাদ্য সচিব কায়কোবাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বদরুল হাসান, প্রোজেক্ট পরিচালক গাজিউর রহমান, বিশ্ব ব্যাংকের টাস্ক টিম লিডার ম্যানিভেল সিনিসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, অনলাইন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দেশের সব স্তরের খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। যাতে করে সারা দেশের খাদ্য গুদামের সর্বশেষ কি অবস্থা, কি পরিমান খাদ্যশস্য মজুদ আছে তা সকলে জানতে পারে।

এডভোকেট কামরুল বলেন,‘এভাবে আমরা প্রতিদিনের স্টক সিস্টেম সম্পর্কেও জানতে পারব। দেশের প্রতিটি খাদ্য গুদামকে অনলাইনের মাধ্যমে ঢাকা থেকে মনিটরিং করা হবে।’

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে তথ্য-প্রযুক্তির যে ছোঁয়া লেগেছে তাতে সব কিছু এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে খাদ্য ব্যবস্থাপনার পিছিয়ে থাকার কোনো কারণ নেই। এছাড়াও বেসরকারি পর্যায়ে কেউ যাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারি করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, ৮টি আধুনিক সাইলোর পাশাপাশি প্রাকৃতিক দূর্যোগ-প্রবন এলাকায় যাতে খাদ্য সংরক্ষণ করতে পারে তার জন্য ৫ লাখ গৃহস্থলী সাইলো তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিটি সাইলোতে ৬০ কেজি করে খাদ্য সংরক্ষণ করা যাবে। এর ফলে দুর্যোগের সময় ওইসমস্ত এলাকায় পর্যাপ্ত খাদ্য পাওয়া যাবে।

 

Related posts