শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১৬ মার্চ ২০১৬
পর্যাপ্ত ঘুমের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। ভালো ঘুম যেমন মনকে প্রফুল্ল রাখে, তেমনি শরীরের ইমিউন সিস্টেমও উন্নত করে। শুধু তাই নয়, পর্যাপ্ত ঘুম ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এরকম আরও কত কি। কিন্তু আপনার যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয় তাহলে সকাল থেকেই মেজাজটা খিটখিটে থাকে। পুরো দিনটাই মাটি হয়ে যায়। এরপর আবার আর একটি রাত আসে অনিদ্রা নিয়ে। ফলে জীবন থেকে সুখটাই চিরতরে হারিয়ে যায়। তবে অনিদ্রা দূর করে ভালোভাবে ঘুম থেকে উঠে দিন শুরু করারও উপায় আছে। তাহলে আর দেরি কেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক রাতে সুখনিদ্রা যাওয়ার কিছু প্রাকৃতিক উপায়-
পর্যাপ্ত ঘুমের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। ভালো ঘুম যেমন মনকে প্রফুল্ল রাখে, তেমনি শরীরের ইমিউন সিস্টেমও উন্নত করে।
১. ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে খাবার খান: রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে খাবার খেয়ে নিন। এরপর ৫-১০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করুন। এটি খাবার হজমে দারুণ সহায়তা করে। সঙ্গে ক্লান্তিও আসে। ফলে বিছানায় শোয়া মাত্রই ঘুম আসে।
২. নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান: ঘুম না আসলেও নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর জন্য বিছানায় যাওয়া উচিত।তবে মাথায় রাখবেন, ঘুম না আসলে তার জন্য আলাদাভাবে কোনও চেষ্টা করা যাবে না।
৩. বই পড়ুন: ঘুম না আসলে বই পড়তে শুরু করুন। তবে তা মোটেও মনযোগ দিয়ে নই। দেখবেন বই পড়তে পড়তে একটা সময় চোখ এঁটে আসছে। আর তখনই বই রেখে ঘুমিয়ে পড়ুন।
৪. মেডিটেশন: এই উপায়টি ঘুমানোর ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর। মেডিটেশনটি এরকম- চোখ বন্ধ করে বাসার ছাদ বরাবর তাকিয়ে থাকুন এবং চোখের মনি আনুমানিক ১৯ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেল এ রাখুন। তারপর বাসার ছাদে একটা বিশাল সাদা রং এর পর্দা কল্পনা করুন। আর তার মধ্যে হালকা নিল রঙের একটা সংখ্যা কল্পনা করুন, তাহলো ১৯। এরপর তা আসতে আসতে মিলিয়ে যাচ্ছে এবং আবার আসতে আসতে আরেকটা সংখ্যা আসছে, তাহলো ১৮। এইভাবে উল্টো কাউন্ট করতে থাকুন। তবে তা খুব ধীরে ধীরে। এইভাবে কিছুক্ষণ করার পর দেখবেন আপনার ঘুম চলে আসছে।
৫. গোসল করা: অফিস থেকে বা বাইরে থেকে এসে গোসল সেরে নিন। এতে সারা দিনের ক্লান্তি এক নিমিষে চলে যাবে। মনটাও ফুরফুরা হয়ে যাবে। ফলে বিছানায় শোয়া মাত্রই ঘুম আসবে।
৬. গরম দুধ খান: পারলে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম দুধ খান। তা ঘুমানোর জন্য খুবই উপকারি।
এছাড়া ঘুমাতে যাওয়ার বেশ কিছু আগে টিভি, কম্পিউটার বন্ধ করুন।পরের দিনের কাজের পরিকল্পনা আগেই করে ফেলুন। চেষ্টা করুন দুশ্চিন্তা না করার। শোবার ঘরটি অযথা একগাদা জিনিস দিয়ে ভরে রাখবেন না।