শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৪ অক্টোবর ২০১৬
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্র অধিক পুরনো হওয়ায় এর উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অনেক কেন্দ্র তাৎক্ষণিক সাটডাউন করতে হয়। গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের স্বল্পতা ও কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে। যে কারণে মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে।
সোহরাব উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার সংসদে এই কথা বলেন মন্ত্রী। প্রশ্নোত্তরের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টার পর সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
জাসদের এ কে এম রেজাউল হক তানসেনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে গ্যাসের মজুদ, চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে চাহিদা মেটানোর জন্য আগামীতে উচ্চমূল্যে এলএনজি গ্যাস আমদানি করতে হবে। তাই সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। এ জন্য বর্তমান সরকার যানবাহনে সিএনজি গ্যাসের ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছে।
মোয়াজ্জেম হোসেনের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান বাড়ায় গ্যাসের চাহিদা বেড়েছে। বর্তমানে দৈনিক ৩ হাজার ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ২ হাজার ৭৪০ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলিত হচ্ছে। তবে সরকার ২০২১ সাল নাগাদ ৫৯টি অনুসন্ধান কুপ খনন ও ৩৭টি উন্নয়ন কুপ খনন করবে। এ ছাড়া ২৩টি পুরনো কুপের ওয়ার্কওভার করা হবে। সেক্ষেত্রে গ্যাসের দৈনিক উৎপাদন ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২৫০মিলিয়ন ঘনফুট বৃদ্ধি পাবে।
লায়লা আরজুমান বানুর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, চাহিদার তুলনায় গ্যাসের সরবরাহে ঘাটতি থাকায় গ্যাসের পাইপলাইন সম্প্রসারণ ও নতুন সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। বাসা-বাড়ি বা আবাসিক খাতে নতুন গ্যাস সংযোগের বিষয়ে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই।
গোলাম রাব্বানীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতে ৩ হাজার ১১ মেগাওয়াট ক্ষমতার পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ওরিয়ন গ্রুপ ও এস আলম গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। কেন্দ্রগুলো ২০২১ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রগুলো চালু হবে। এ ছাড়া মহেশখালীতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য মালয়েশিয়া, চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সমঝোতা সই হয়েছে। জাইকার সহায়তায় মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।
সামশুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, ২০১১ থেকে এ পর্যন্ত ৪৬টি প্রতিষ্ঠানকে এলপিজি বটলিং প্ল্যান্ট নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।