শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৬ জানুয়ারি ২০১৭
সন্তানরা তাদের মা-বাবার টাকা খরচের দিকটাই প্রত্যক্ষভাবে দেখে থাকে। তবে মা-বাবা কীভাবে টাকা জমাচ্ছে বা কী ধরনের ভবিষ্যত পরিকল্পনা করছে তা সন্তানরা সচরাচর জানতে পারে না, তাই তাদের সঞ্চয় সম্পর্কে আলাদাভাবে বোঝানো দরকার।
শিশুকাল থেকেই সন্তানকে টাকার মূল্য এবং তা কীভাবে বুঝেশুনে খরচ করা উচিত সেই সম্পর্কে শেখাতে হবে। জীবনযাপন-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে সন্তানকে কীভাবে টাকা সঞ্চয় সম্পর্কে বোঝানো যায় তারই কিছু উপায় তুলে ধরা হয়।
চাহিদা এবং শখের মধ্যে তফাৎ বোঝান: আধুনিক বিজ্ঞাপন ব্যবস্থা, বিলবোর্ড আর ইন্টারনেটের সুবাদে বিভিন্ন লোভনীয় বস্তুর প্রতি আগ্রহ তৈরি হওয়া খুব একটা অবাক করা বিষয় নয়। আর ছোটরা এমন বিজ্ঞাপন থেকে বেশি প্রভাবিত হয়। ফলে তাদের আবদারের পরিমাণও থাকে বেশি। তাই এই বিষয়ে তাদের শেখাতে হবে কোন জিনিসগুলো কেনা তাদের চাহিদা এবং কোনগুলো বিলাসিতা।
বিল দিতে সন্তানকে নিয়ে যান: পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল ইত্যাদি পরিশোধের জন্য ব্যাংকে যাওয়ার সময় সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে যান। বিল কীভাবে কমানো যায় সেই বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করুন। ঘর থেকে বের হওয়ার সময় লাইট, ফ্যান বন্ধ করা, কল ছেড়ে না রাখা ইত্যাদি বিভিন্ন দিক তাদের জানান এবং দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে চেষ্টা করুন।
ঘরের বাজার করার সময় তাদের নিয়ে যান: সন্তানদের ঘরের প্রয়োজনীয় টুকিটাকি জিনিসগুলো কেনা শেখান। তাদের পরিমিত পরিমাণ টাকা দিন এবং সঙ্গে একটি তালিকা দিন, সেখান থেকে জরুরি পাঁচটা জিনিস কিনতে বলুন। এর মধ্যে যতটুকু টাকা তারা বাঁচাতে পারবে তা তাদের মাটির ব্যাংক বা বক্সে জমান। এতে তারা টাকা বাঁচাতে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে।
তাদের টাকা জমাতে আগ্রহী করে তুলুন: শিশুর মাটির ব্যাংক বা পিগি ব্যাংককে আপনি তাদের সামনে উপস্থাপন করুন সাধারণ ব্যাংকের মতো করেই। তারা যদি একশ টাকা জমাতে পারে তাহলে তাদের বাড়তি পাঁচ বা ১০ টাকা দিন। এতে তারা আরও বেশি টাকা জমাতে আগ্রহী হয়ে উঠবে।
যখন তখন তাদের উপহার দেবেন না: মা-বাবা সন্তানদের ভালোবাসে। তাই তাদের চাওয়াগুলো সবসময়ই পূরণ করার চেষ্টা করে। তবে চাওয়া মাত্রই সব কিছু পেলে তাদের চাহিদা ক্রমশ বাড়তেই থাকবে। বরং বুঝে শুনে তাদের যা প্রয়োজন সেটিই তাদের উপহার দিন।