শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৩ জানুয়ারি ২০১৭
এ বছর আন্তঃপ্রাথমিক বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপস্থিত বক্তৃতায় তৃতীয় স্থান দখল করে বরগুনার বেতাগীর ৩৪নং জলিশা হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মো. মাইনুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরস্কার নিতে গিয়ে তুলে ধরে নিজের স্কুলের সমস্যার কথা। জোয়ারে স্কুল প্লাবিত হওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাতে ধরিয়ে দিল আবেদনপত্র।
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেন প্রধানমন্ত্রী। ওই স্কুলের জন্য একটি দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
গত ২৯ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে পুরস্কার নেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে লিখিত আবেদনপত্রটি তুলে দেয় মাইনুল। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১ ফেব্রুয়ারি জলিশা হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরুরিভিত্তিতে দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে চিঠি দেয়া হয়েছে।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, স্কুলে পানি ওঠার কথা জানিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের অনুষ্ঠানে ওই শিক্ষার্থী প্রধানমন্ত্রীকে একটি কাগজ দিয়েছিল। আমরা জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছি। জরুরিভিত্তিতে আমরা জীর্ণ স্কুল ভবন নির্মাণ করে দেই। এই শুষ্ক মৌসুমেই ওই স্কুল ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
মাইনুল প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া চিঠিতে লিখেছে, ‘আমার বিদ্যালয়টি বেড়িবাঁধের বাইরে ব্যারের ডোন নদীর তীরে হওয়ায় প্রতি বছর জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। যার ফলে আমাদের দৈনন্দিন লেখাপড়া ও খেলাধুলা করতে কষ্ট হয়। আপনার কাছে আমার বিনীত প্রার্থনা, যাতে আমরা অতি শিগগিরই একটি দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার পেয়ে উন্নত পরিবেশে লেখাপড়া করতে পারি তার বিহীত বিধানে মর্জি হন।’
এই চিঠির সঙ্গে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে যাওয়া পানিতে বেঞ্চে বসে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করার একটি ছবি এবং বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পানিতে শিক্ষার্থীদের বই নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার আরও তিনটি ছবিও জুড়ে দেয় মাইনুল।
গত ২৯ জানুয়ারি বিদ্যালয়ে দ্বিতল ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রী অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবকে চিঠি দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।