শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫ কেজি ওজনের একটি বিশেষ ‘হেলথ কেয়ার রোবট’ জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। একইসঙ্গে গোয়েন্দা ডিভাইস ও নেটওয়ার্কিং সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে।
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে খেলনা ও কম্পিউটার সামগ্রী হিসেবে খালাসের চেষ্টাকালে এয়ারফ্রেইট ইউনিটের বাইরে থেকে গত ৮ সেপ্টেম্বর আটকের পর আজ এসব উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মঈনুল খান জাগো নিউজকে জানান, আমদানি নীতি অনুযায়ী রোবট মেডিক্যাল ডিভাইস হিসেবে ওষুধ প্রশাসনের এবং নেটওয়ার্কিং ডিভাইস বিটিআরসির অনুমোদন ব্যতিরেকে আমদানিযোগ্য নয়।
পণ্য চালানের বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকায় গত ৮ সেপ্টেম্বর শাহজালালের এয়ারফ্রেইটের ১ নং গেট দিয়ে বের করার পর শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃক পণ্য চালানটি সাময়িক আটক করা হয়। এতে ৩২৫ কেজির ২৪টি কার্টন পাওয়া যায়। আজ সংশ্লিষ্টদের উপস্থিতিতে পরীক্ষা করে এ ধরনের অনিয়ম উদঘাটন হয়।
তিনি বলেন, চালানটি থেকে ১টি রোবট, ১২০টি স্মার্ট ওয়াচ (সিম স্লট সংযুক্ত), ১০টি মিনি ডিজিটাল ও ২৫টি পেন ক্যামেরা (গোয়েন্দা ডিভাইস), ৬৩টি ইথারনেট সুইস, ২৫টি এন্টেনা, ১৯টি বেজ স্টেশনসহ বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্কিং সামগ্রী পাওয়া যায়।
রোবটের প্যাকেটে লেখা আছে ‘হেলথ কেয়ার রোবট’। এতে রিমোট কন্ট্রোলসহ ক্যামেরা ও মিউজিক বক্স সংযুক্ত করা আছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, এই রোবট উন্নত দেশে মেডিকেল সেবায় ব্যবহৃত হয়। তবে এর অপব্যবহার রোধে যেকোন মেডিকেল ডিভাইস আমদানির পূর্বে ওষুধ প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। এই রোবট আমদানিতে অনুমতি ছিল না।
অন্যদিকে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রদানের ক্ষেত্রে আটক নেটওয়ার্কিং ডিভাইস ব্যবহার করা হয় এবং এজন্য বিটিআরসির অনুমোদন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এক্ষেত্রে তা পরিপালন করা হয়নি। এসব সামগ্রী ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে ব্যবহারযোগ্য।
শুল্ক গোয়েন্দার ডিজি আরো বলেন, বিল অব এন্ট্রি অনুযায়ী আমদানিকারক হলেন শাহ আমানত সিটি কর্পোরেশন মার্কেট, চট্টগ্রামের মেসার্স গ্লোবাল কমিউনিকেশন্স। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল মেসার্স কুম ট্রেডার্স। চালানটি চীন থেকে EY960 বিমান যোগে ঢাকায় অবতরণ করে।