লন্ডনে বসে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন টিউলিপকে : প্রধানমন্ত্রী

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১৯  জুন ২০১৬

লন্ডনে বসে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন তারেক : প্রধানমন্ত্রী

লন্ডনে বসে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন তারেক : প্রধানমন্ত্রী

টিউলিপকে  লন্ডনে বসে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘লন্ডনে এক কুলাঙ্গার বসে আছে। তাকে আদর দিয়ে ব্রিটিশ সরকার বসিয়ে রেখেছে। ব্রিটিশ সরকার কেন তাকে আশ্রয় দিয়েছে জানি না। সে ওখানে যাওয়ার পর টিউলিপ হুমকি পাচ্ছে। ব্রিটিশ সরকারের দায়িত্ব এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।’

আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকীকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টিউলিপকে দেওয়া হুমকিতে বলা হয়েছে তোর নানাকে হত্যা করেছি। তোকে আর তোর মা-খালাকেও হত্যা করব। এই হলো হুমকির ভাষা। যে হুমকি শুনে বিএনপি নেত্রীর সেই “হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ চাই” হুমকির কথা মনে পড়ে যায়। এর অর্থটা কী? জীবনের তরে শেষ করে দেবে আমাকে। এই হুমকি-ধমকির মধ্য দিয়েই আমাদের চলতে হচ্ছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, জয়ের বিরুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইকে কিনে ফেলার চেষ্টা হয়। উদ্দেশ্য হচ্ছে তাঁকে একেবারে খতম করে দেওয়া। সে ষড়যন্ত্র হয়েছিল।

গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা ভোগ করার পর কিছু দায়িত্বও থাকে। সবার কাছ থেকে সেই দায়িত্বশীলতা আশা করি।’ প্রধানমন্ত্রী তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে জড়িয়ে বিবিসির একটি প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বলেন, ‘বিবিসিও একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দিল, যার কোনো ভিত্তি ছিল না। বিবিসির মতো একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছ থেকে এটা কাম্য ছিল না। সেটাও ঘটেছে।’

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আগে সাংবাদিক নেতারা নানা দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এর মধ্যে সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন, আবাসন–সমস্যা সমাধান ও প্রেসক্লাবের ভবন নির্মাণের দাবি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ওয়েজ বোর্ডের জন্য মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তথ্যমন্ত্রীকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। আবাসন–সমস্যা সমাধানে জায়গা খোঁজার পরামর্শ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি টেলিভিশন চালু করার সাহস কেউ পায়নি। তিনি সেটা করেছেন। এখন টক শো করেও অনেকের ভালো কামাই হচ্ছে। তবে টক শো সংসদের বিকল্প হতে পারে না। জাতীয় সংসদে কথা বলা হয় কতগুলো নিয়ম-নীতি ও বিধিবিধানের মধ্যে থেকে। আর টক শোতে বক্তব্য হয় লাগামছাড়া।

সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গুপ্তহত্যা চলছে। আমি বলেছিলাম তথ্য আছে। মাদারীপুরে শিক্ষককে হত্যাচেষ্টা থেকে এখন প্রমাণ হয়েছে। সেখানে জনগণ হাতেনাতে ধরেছে। এ ঘটনার পর কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। এরপর এভাবেই মানুষ ধরবে।’

ইফতার অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিকনেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাফর ওয়াজেদ, মহাসচিব ওমর ফারুক ও ডিইউজের সভাপতি শাবান মাহমুদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে এসেই সম্পাদক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আমন্ত্রিত অতিথিদের টেবিলে গিয়ে তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

 

 

 

Related posts