শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৫ অক্টোবর ২০১৬
আগামীকাল রোববার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দীর্ঘদিন কাজ করে চলছে। ১৯৭৯ সালে এ সংস্থার ২০তম সাধারণ সভায় হাঙ্গেরির বিজ্ঞানী ড. পল রোমানি বিশ্বব্যাপী খাদ্য দিবস পালনের প্রস্তাব করেন।
তার প্রস্তাবের পর ১৯৮১ সাল থেকে প্রতি বছর খাদ্য ও কৃষি সংস্থার জন্মদিন ১৬ অক্টোবর এই `বিশ্ব খাদ্য দিবস` পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার জন্ম ১৯৪৫ সালে।
দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাদ্য এবং কৃষিও বদলাবে’। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কৃষি আমাদের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবহমানকাল থেকেই কৃষি দেশের উন্নয়নের প্রধানতম খাত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সীমিত জমি থেকে বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্যনিরাপত্তার টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। পরিবর্তিত জলবায়ুতে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্যের বলয় তৈরিতে কৃষিতেও টেকসই প্রযুক্তির সমন্বয় জরুরি।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নে কৃষিবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সার, বীজসহ সব কৃষি উপকরণের মূল্যহ্রাস, কৃষকদের সহজশর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগসহ তাদের নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।