শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৬ মার্চ ২০১৭ ‘
২০১৩ সালে বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মালিকানাধীন ১৪টি মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট অপসারণের বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে মামলা থাকায় অপসারণ কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত এম আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) টিম ডিএনসিসির মালিকানাধীন রাজধানীর ১৪টি মার্কেটকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন দাখিল করে। মার্কেটগুলো হলো- ১. গুলশান (উত্তর) পাকা মার্কেট, ২. গুলশান (উত্তর) কাঁচা মার্কেট, ৩. গুলশান (দক্ষিণ) পাকা মার্কেট, ৪. গুলশান (দক্ষিণ) কাঁচা মার্কেট, ৫. খিলগাঁও তালতলা সুপার মার্কেট, ৬. খিলগাঁও তালতলা কাঁচা মার্কেট, ৭. কারওয়ানবাজার ১নং ভবন মার্কেট, ৮. কারওয়ানবাজার কাঁচামালের আড়ত মার্কেট, ১১. মোহাম্মদপুর টাউন হল পাকা মার্কেট, ১২. মোহাম্মদপুর টাউন হল কাঁচা মার্কেট, ১৩. পান্তিক সুপার মার্কেট (গাবতলী) ও ১৪. কলমিতলা কাঁচা মার্কেট।
মন্ত্রী জানান, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ টিমের প্রতিবেদনের আলোকে ডিএনসিসি মালিকানাধীন ১৪টি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের প্রত্যেক বরাদ্দ গ্রহীতা এবং মালিক সমিতির সভাপতি/সম্পাদককে লোড নিয়ন্ত্রণের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। মার্কেটে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পর্যায়ে সতর্কতা অবলম্বনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটে ক্রেতা সাধারণের জানমালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে দৃশ্যমান জায়গায় সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন করে উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মার্কেটগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার বিবরণ ও ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে মার্কেটের গ্রহীতা ও মার্কেট সমিতির সভাপতি/সম্পাদককে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট অপসারণের মাধ্যমে নতুন মার্কেট পুনর্নিমাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে।