যেভাবে মস্তিষ্কে ঢুকছে দূষিত কণা

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৭   সেপ্টেম্বর   ২০১৬

যেভাবে মস্তিষ্কে ঢুকছে দূষিত কণা

যেভাবে মস্তিষ্কে ঢুকছে দূষিত কণা

একটি নতুন গবেষণায়, মানব মস্তিষ্কের ভেতরে যথেষ্ট পরিমাণে বিষাক্ত ন্যানোপার্টিকেল খুঁজে পেয়েছেন। ন্যানোপার্টিকেল এমন এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ যা কিনা সাধারণত দূষিত বাতাসে পাওয়া যায়। নতুন এই গবেষণার ফলাফল সবার মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে কারণ মস্তিষ্কের ডিজেনারেটিভ রোগ যেমন অ্যালজাইমার এবং স্মৃতিভ্রংশ রোগের সঙ্গে এই বিষাক্ত ন্যানোপার্টিকেল এর যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া গেছে।

যুক্তরাজ্যের ‘জাতীয় বিজ্ঞান অ্যাকাডেমি প্রসিডিংস’ জার্নালে প্রকাশিত এবং ল্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের বারবারা মাহেরের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, বাতাসে উচ্চ মাত্রায় দূষিত বস্তুকণা রয়েছে এমন এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণে বিষাক্ত ন্যানোপার্টিকেল রয়েছে। নিউ মেক্সিকো এবং ম্যানচেস্টারের ৩৭ জন বাসিন্দাদের মধ্যে পরিচালিত এই গবেষণায় দেখা যায়, তাদের ব্রেইন টিস্যু এই বিষাক্ত কণার উপস্থিতি প্রকাশ করছে।

ফুসফুসের মাধ্যমে ফুঁ দিলে অথবা এমনকি নাকের ঘ্রাণজ কন্দের মাধ্যমে বস্তুকণা মস্তিষ্কে তার পথ খুঁজে পায়।

ক্যাল টেক এর জো ক্রিসচিঙ্ক নিউজউইককে বলেন, ‘এই গবেষণার ফল এটাই স্বীকৃতি দেয় যে, কারখানা-জেনারেটেড ম্যাগনেটাইট এর আণুবীক্ষণিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চৌম্বক কণা মস্তিষ্কের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করতে সক্ষম।’

আণুবীক্ষণিক এ সব ধাতব ন্যানোকণিকা সাধারণত যানবাহনের ধোয়া, কারখানার প্রক্রিয়ায় এবং আবাসিক গ্যাস বার্নার্স জ্বলনের সময় উৎপাদিত হয়।

দূষিত বায়ুতে থাকা এসব কণাকে টেনে নিচ্ছে মস্তিষ্ক। বিশেষ করে অ্যালজাইমারের সঙ্গে এর যোগসূত্র থাকায় তা উদ্বেগ তৈরি করেছে। অ্যালজাইমার রোগে মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুর কার্যক্ষমতা দিনে দিনে লোপ পায়। ফলে বিভিন্ন প্রকার মানসিক এবং পরে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এ রোগে আক্রান্ত রোগী সব কিছু ভুলে যায়, মানসিক ভারসাম্য নষ্ট এবং স্মৃতিশক্তি বিলুপ্ত হতে থাকে।

 

 

Related posts