শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার আমরা করেছি। বিচারের রায় আমরা কার্যকর করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আমরা করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ও আমরা কার্যকর করেছি, করে যাচ্ছি। এটা অব্যাহত থাকবে। এক্ষেত্রে যত বাধাই আসুক না কেন বিচার চলবে।’
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে এখনও বেঁচে আছেন, তাদের দুঃখ আমি বুঝি, আর কেউ না বুঝুক। একাত্তরে যারা আপনজন হারিয়েছেন, তাদের ব্যথা-বেদনা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করি। আমার পিতা-মাতা, ভাইয়ের হত্যার যেমন বিচার করেছি, তেমনি যারা আপনজন হারিয়েছেন, নিশ্চয় তাদের বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। নিশ্চয় সে বিচার আমি করে যাচ্ছি। আমি করে যাব- এটাই আমার প্রতিজ্ঞা, তাতে যত বাধা, যত কিছুই আসুক।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর হওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের সহযোগিতায় প্রতিটি অন্যায়ের বিচার করতে পেরেছি। যে চেতনায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, সে চেতনায় আবার বাংলাদেশকে গড়ে তুলব।
মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাস ভুললে আমাদের অস্তিত্বই থাকবে না। আল-বদর আর রাজাকারদের হাতের ক্রীড়ানক হয়ে আমরা থাকতে পারি না।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারে বাধা সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা যাবে না। অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করল। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন হয়ে শেখ মুজিবের আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে চাকরি দেন। আর ওই খুনিরা সেদিন বলেছিল, ‘আমরা শেখ মুজিবকে হত্যা করেছি। কে আমাদের বিচার করবে?’ তারা বিবিসিতে সাক্ষাৎকার দিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল যে, কে তাদের বিচার করবে?”