মোদির হস্তক্ষেপ চাওয়ায় রানা দাসগুপ্তের বক্তব্যে সংসদে ক্ষোভ

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১৮  জুন ২০১৬

মোদির হস্তক্ষেপ চাওয়ায় রানা দাসগুপ্তের বক্তব্যে সংসদে ক্ষোভ

মোদির হস্তক্ষেপ চাওয়ায় রানা দাসগুপ্তের বক্তব্যে সংসদে ক্ষোভ

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্তের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরকারদলীয় সদস্য আব্দুল মজিদ খান। শনিবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ চাওয়ার বিষয়ে রানা দাসগুপ্তের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

পাকিস্তান যেভাবে কথা বলে, রানা দাশগুপ্ত সেই একই ভাষায় কথা বলছেন অভিযোগ করে ক্ষমতাসীন দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, বিএনপির শাসনামলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দুর্গাপূজা করতে পারেননি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বর্তমান সরকারের এই সাত বছরে বাংলাদেশে তারা স্বাচ্ছন্দ্যে যখন ধর্ম পালন করছে, তখন তার এই ধরনের বক্তব্য কেন? তার বক্তব্যে বাংলাদেশে কিসের উসকানি দেয়া হচ্ছে?

গত রোববার ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা (এবিপি) গ্রুপের মালিকানাধীন এবিপি আনন্দ লাইভের অনলাইন সংস্করণে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংগঠনের সচিব মানবাধিকার কর্মী রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, মৌলবাদীরা এবং জামায়াত বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের অস্তিত্ব মুছে দিতে চাইছে। তাই তারা ভারতের সাহায্য চাইছেন। ভারতের অধিকাংশ মানুষ হিন্দু। তাই তারা আশা করেন, ভারত তাদের সাহায্য করবে। মোদির উচিত হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা বলা।’

প্রতিবেদনটিতে আরো বলা হয়, ‘নিরাপত্তার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা। তারা চাইছেন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে কথা বলুক ভারত সরকার।’

সেই প্রসঙ্গে আব্দুল মজিদ খান বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। প্রস্তাবিত বাজেটে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য ২০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে লাঙ্গলবন্দের পুণ্যস্ন্যান ঘাটের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য। কিন্তু বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারি রানা দাশগুপ্ত একটি বক্তব্যে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার কথা বলেছেন। আমি জানি না, পাকিস্তান যেভাবে কথা বলে, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই নেতা কেন সেই ভাষায় কথা বললেন।

 

Related posts