শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৬ অক্টোবর ২০১৬
চাকরি হারানো পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যার অন্যতম আসামি মুছাকে ধরিয়ে দিতে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিএমপি সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার এ তথ্য জানান।
পুলিশ কমিশনার বলেন, মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকাণ্ডের পর এ পর্যন্ত মোট ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে দু’জন ইতোমধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
তারা মুছার নির্দেশেই ওই হত্যকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করেন।
মিতু হত্যা মামলায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে দাবি করে পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, খুব স্বল্প সময়ে মিতুর স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে এসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন।
তিনি বলেন, মুছা কি নিজে প্ররোচিত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে না কি তাকে কেউ প্ররোচিত বা নির্দেশ দিয়েছে তা জানার দরকার। এ জন্য তাকে আটক করা পুলিশের জন্য খুবই প্রয়োজন।
পুলিশ কমিশনার বলেন, মুছা যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারে এ জন্য ইতোমধ্যে দেশের সবগুলো স্থানে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। দেশের বর্ডারগুলোতে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মুছাকে পুলিশের জন্য এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ‘বিষয়’ বলেও উল্লেখ করেন পুলিশ কমিশনার।
মুছাকে আইনশৃংখলা বাহিনী আগেই আটক করেছে- মুছার স্ত্রীর এমন দাবির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশ কমিশনার বলেন, আমরা মুছাকে এখনো পর্যন্ত আটক করতে পারিনি। মুছার স্ত্রী যদি প্রমাণ করাতে পারেন সেটা তার বিষয়। কোর্ট প্রমাণ চায়।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের ওয়েল ফুডের সামনে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু আক্তারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জঙ্গিবিরোধী অভিযানে বাবুল আক্তারের বিশেষ ভূমিকা থাকার কারণে হত্যাকাণ্ডের পরপর ধারণা করা হয়েছিল এর সঙ্গে জঙ্গিদের হাত থাকতে পারে। তবে পরবর্তী সময়ে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে জলঘোলা হয়েছে প্রচুর। মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকে চাকরিও হারাতে হয়েছে।
বাবুল আক্তারকে অব্যাহতি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাবুলের আবেদনেই তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তবে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে বাবুলের কোনো সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না সে বিষয়ে কারো তরফ থেকে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।