শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো ত্যাগ স্বীকার করে দেশের মানুষের সেবা করতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সৈয়দ বদরুল আহসান। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের জীবনে মানুষের আস্থা-বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় সম্পদ। এর চেয়ে বড় সম্পদ আর কিছু নয়।’
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও অর্জনে ছাত্রলীগের ঐতিহ্যবাহী ভূমিকা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছাত্রলীগ বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম এবং জাতির প্রতিটি অধিকার আদায়ে অগ্রণী সেনানী। জাতির পিতার হাতে গড়া এ সংগঠন।’
স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে যারা স্বজন হারাবার বেদনা নিয়ে এখনো বেঁচে আছে, তাদের কষ্ট বুঝি। আর কেউ বুঝুক আর না বুঝুক, তাদের মর্মবেদনা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারি। তাদের নিশ্চয় বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। সেই বিচারও করে যাচ্ছি, করে যাব। যত বাধা-বিপত্তিই আসুক, এটাই আমার প্রতিজ্ঞা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি সংকল্প দৃঢ় থাকে, তাহলে যেকোনো অর্জন সম্ভব। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, মহৎ অর্জনের জন্য মহান ত্যাগ দরকার। তাই এই মহৎ অর্জনের জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে আমি সব সময় প্রস্তুত। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিজয়ের ইতিহাস আমরা কখনো ভুলতে পারি না। ভুললে পরে আমাদের ঐতিহ্যই থাকবে না। ওই আল বদর, রাজাকারের হাতের ক্রীড়নক হয়ে আমরা থাকতে পারি না।
তারা আমাদের দেশের স্বাধীনতাই চায়নি। তারা এ দেশকে রক্তাক্ত করেছে। ত্রিশ লাখ শহীদ হয়েছে, দুই লাখ মা-বোন ইজ্জত দিয়েছে, এটা আমাদের ভুললে চলবে না। জাতির পিতা জীবন দিয়ে গেছেন। তার আদর্শ আমাদের সামনে আছে। সেই আদর্শ নিয়েই এগিয়ে চলতে হবে এবং বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে।
লেখাপড়া শিখে মানুষের মতো মানুষ হতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বের সাথে তালি মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। যুগটা হচ্ছে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির যুগ। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। আমরা বাংলাদেশকে আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন করে যাচ্ছি। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার মতো আমরা একটি পথ করে দিয়েছি।’