মানবদেহের গ্রন্থিতে সাতটি চক্রের প্রভাব

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

মানবদেহের গ্রন্থিতে সাতটি চক্রের প্রভাব

মানবদেহের গ্রন্থিতে সাতটি চক্রের প্রভাব

মহাবিশ্বে চক্রাকারে ঘুরছে মানবজীবন। এই চক্রের কোথায় শুরু বা শেষ তা আমরা জানি না। মানুষের শরীরের অন্তক্রিয়ার মধ্যেও চক্র বিদ্যমান। প্রাচীন জ্ঞান ও আধুনিক কোয়ান্টাম জীববিদ্যা এই অপরিহার্য নীতির ওপর সম্মত হোন যে, চেতনা মন থেকে নয় বরং শরীরের ভেতর থেকে উৎপন্ন হয়। চেতনার উদ্ভিন্নতা নির্ভর করে শারীরিক গঠনের ওপর।

প্রত্যেকটি মানুষের শরীর তাদের নিজেদের কাছে একেকটি ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতার মতো। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার শরীর সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে না পারে, ততক্ষণ তা শুধু একটি রহস্য।

সাতটি চক্র এবং শক্তির উৎস

শরীরের সমস্ত শক্তির মূলকে সংস্কৃতিতে চক্র বলা হয়। চক্র মূলত চাকা বা আবর্ত। চক্র হচ্ছে বিষয়বস্তু এবং মনের অর্থাৎ এটি শরীর এবং চেতনার মধ্যকার সম্মিলিত বিন্দু।

চক্র এবং অন্তঃস্রাবী পদ্ধতি

মানুষের শরীরে সাতটি চক্র রয়েছে। এটি শরীরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে, যেমন অত্যাবশ্যকীয় বলের ছেদকরণ, ঘূর্ণিত করা, বিস্তৃত করা এবং প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখা। আমাদের শরীরের ঠিক মধ্যভাগে, প্রতিটি কন্টকে, মাথা চুল অবধি চক্রের প্রভাব বিদ্যমান। চক্র হচ্ছে শারীরিক ও মানসিক জীবনযাপনের মূল হোতা।

প্রত্যেকটি মানুষের আচার-আচরণ বা চিন্তাভাবনা আলাদা। কিন্তু সেই চেতনার বিকাশ ঘটায় চক্র। এন্ডোক্রাইন বা অন্তঃস্রাবী এমন একটি গ্রন্থি, যার সাতটি গন্ডের মাধ্যমে চক্র বিস্তৃত হয়। অন্তঃস্রাবী পদ্ধতি হচ্ছে মানুষের শরীর ও মন পরিচালনার মূল প্রক্রিয়া। নিচে এই সাতটি চক্র, তাদের অবস্থান এবং তাদের কাজ সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।

১) মুকুট চক্র : সংস্কৃতিতে মুকুট চক্রকে বলা হয় সাহাস্রারা এবং এর রং গাঢ় বেগুনি। এটি মস্তিষ্কের পাইনিল গ্রন্থিতে অবস্থান করে। তবে সমগ্র মস্তিষ্কে এর প্রভাব রয়েছে। আত্মিকতা এবং ঐশ্বরিক চেতনার বিস্তার ঘটায়।

২) ত্রি নয়ন চক্র : ত্রি নয়ন চক্রকে সংস্কৃতিতে বলা হয় আজনা। এর রং বেগুনি নীল বর্ণ। দুই ভ্রুর মাঝখানে পিটুইটারি গ্রন্থিতে এই ত্রি নয়ন চক্রের অবস্থান। এটি মানুষের সংজ্ঞাকে বিস্তৃত করে।

৩) গন্ড চক্র : গন্ড চক্রের সংস্কৃত নাম বিশুদ্ধি। এর রং নীল বর্ণ। গলার চারপাশে এবং থাইরয়েড গ্রন্থিতে এর অবস্থান। এটি মানুষের যোগাযোগ এবং নিজেকে প্রকাশ করতে সাহায্য করে।

 

৪) হৃদ চক্র: হৃদ চক্রকে সংস্কৃতিতে বলা হয় আনাহাতা। এর রং সবুজ। এটি হার্ট বা হৃদয়ের চারপাশে অবস্থান করে। এটি মানুষের সমবেদনা, প্রেম এবং নিরাময় করার ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।

৫) সৌর জালক চক্র : সৌর জালক চক্রকে সংস্কৃতিতে বলা হয় মানিপুরা। এর রং হলুদ। নাভি বা নাভি এলাকায় এর অবস্থান। এটি অগ্ন্যাশয়, স্বেচ্ছা, আত্মসম্মান, সাহস ও ব্যক্তিগত ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণ করে।

৬) ত্রিকাস্থি চক্র : ত্রিকাস্থি চক্রের সংস্কৃত নাম সোয়াধিস্থানা। এর ধারণকৃত রং কমলা। যৌন এলাকায় এর অবস্থান। এটি মানুষের ডিম্বাশয়, সৃজনশীলতা, আবেগ ও যৌনক্ষুধা চরিতার্থ করে।

৭) মূল চক্র :  মূল চক্রের সংস্কৃত নাম মূলধারা। এর রং লাল। মূল চক্রের অবস্থান মানুষের মেরুদণ্ডে। এটি মানুষের বেঁচে থাকা, নিরাপত্তা ও একাত্মতার অনুভূতি প্রকাশ করে।

 

 

Related posts