মাধবদীর সন্তান নুর আমিন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৬মে  ২০১৭

মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি :

মাধবদীর সন্তান নুর আমিন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী

মাধবদীর সন্তান নুর আমিন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী

দক্ষতা সততা পরিশ্রম মেধা ও সৃষ্টিশীলতা দিয়ে নরসিংদী ও মাধবদীর রাজনীতিতে অল্প বয়সেই নিজের অবস্থান পোক্ত করে গড়ে তুলেছে মাধবদীর সন্তান মো: নূর আমিন। গত ১ লা মে সোমবার মাধবদী পৌর সভার হল রুমে একান্ত সাক্ষাতকারে “শীর্ষ রিপোর্ট ডট কম” এর মাধবদী নরসিংদী প্রতিনিধি মোঃ আল আমিনকে তিনি বলেন, তার জীবনের প্রথম প্রেম ছিলো রাজনীতি। যেহেতু আওয়ামী পরিবারে তার জন্ম তাই ভালবাসার কেন্দ্র বিন্দু ছিলো বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ। মাধবদী পৌর শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের টাটাপাড়া মহল্লায় তার জন্ম তার পিতা মৃত বাতেন ব্যাপারীর ৩ ছেলে ও ১ মেয়ের মধ্যে সে ২য় সন্তান। কৈশোর থেকেই তার ছাত্রলীগ হয়ে উঠেছিল ধ্যান জ্ঞান, কিছু বুঝে না বুঝেই জয় বাংলার মিছিলে ছুটে যেত সে। মাধবদী এস পি ইনিস্টিটিউট স্কুল থেকে স্কুল জীবন শেষ করে মাধবদী কলেজে প্রবেশ করে কলেজ থেকে মাধবদী বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবেই কেটেছে। সর্ব প্রথম ২০০৫ সালে এস এস সি পরীক্ষা দিয়েই তার রাজনীতি জীবনের উত্থান শুরু। তার দুই চাচার মধ্যে একজন হলো ২০০৫ সালে মাধবদী শহর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক, বর্তমান মাধবদী শহর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও মাধবদী পৌরসভার মেয়র হাজী মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিক ও আরেক চাচা ২০০৫ সালের নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক, বর্তমানে নরসিংদী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলহাজ্ব আলী হোসেন শিশিরের হাত ধরে ছাত্র রাজনীতিতে শুভসূচনার মধ্যে দিয়ে রাজনীতির পথচলা শুরু করে সে। ২০০৬ সালে মাধবদী পৌরসভার নিজ ওয়ার্ড টাটাপাড়া ৬ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। পরে ২০১০ সালে মাধবদী পৌরসভা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। ২০১২ সালে নরসিংদী সদর থানা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন। ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সাথে সক্রিয় ভাবে রাজপথে থাকার সুবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সম্মেলনে, ঢাকা মহানগর উওর ছাত্রলীগের সম্মেলনে ও ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের সম্মেলনে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন সে। ২০১৪ সালের ২৬ জুন মাধবদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগ সমর্থিত জি.এস পদে নির্বাচন করেছেন। ২০১৪ সালের জুলাই মাসে মাধবদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। পরে সর্ব শেষ ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর মাধবদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে ছাত্রলীগ থেকে সফল ভাবে পরিসমাপ্তি হয় নূর আমিনের। প্রায় ১০ বছরের অধিক সময় ধরে ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে শেখ হাসিনার নির্দেশ ঘোষিত ও দলীয় প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে মিটিংএ মিছিলে রাজপথে ছিলেন। শেখ হাসিনার নির্দেশিত ঘোষিত ঢাকার আওয়ামীলীগের বিভিন্ন জনসভায় মিছিলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মাধবদীর নেতাকর্মীদের সাথে অংশ গ্রহণ করেছেন সক্রিয় ভাবে। ২০০৬ সালে বি.এন.পি জামাত জোট সরকার ক্ষমতা ছাড়ার প্রাক্কালে পাতানো আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন দিয়ে সাজানো নির্বাচন করতে চেয়েছিল, সেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম আজিজের আজিজ মার্কা নির্বাচনের বিরুদ্ধে সারা বাংলাদেশের পাশাপাশি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক মাধবদী থেকে পাঁচদোনা মোড় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সাথে অবরুদ্ধ করে মিছিল করে শ্লোগান ধরে ছিলেন ‘আজিজের চামরা কুত্তা দিয়ে কামরা আজিজ মার্কা নির্বাচন মানি না মানবো না’। ১/১১ ওয়ান ইলেভেন ফখরুদ্দীন, মঈন উদ্দিন সেনা সমর্থীত সময়ে নেতা কর্মীদের সাথে রাজপথে ছিলেন লড়াকুর সৈনিকের মতো। তৎকালীন ২০০৮ সালে ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী সদর ১ আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা মার্কার দলীয় প্রার্থী লে: কর্নেল অব: মো: নজরুল ইসলাম হীরু বীর প্রতীকের সাথে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনী গণসংযোগ পথসভা সমাবেশে নৌকা মার্কার বিজয়ের জন্যে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন এই নূর আমিন। নৌকা মার্কার দলীয় প্রার্থীর সাথে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়েছেন, নিজ এলাকার কেন্দ্র মাধবদী এস.পি স্কুলের কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার জন্যে নির্বাচনের দিন ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোটার উৎসাহিত করে নিরাপত্তা দিয়ে যানবাহন রিক্সা যোগে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে এসে ভোট প্রদান করিয়েছেন ভোটারদের। পাশাপাশি ভোটারদের ভোট দেওয়ার নম্বর সম্বলিত স্লিপ কাগজ নিজে লিখে দিয়েছেন। ফলাফল ঘোষনার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে কেন্দ্রে পাহারায় থেকে বিজয়ী ফলাফল নিয়ে বিজয় মিছিল করেছেন শত শত লোক নিয়ে। বিগত ৫ বছর নির্বাচিত সংসদ সদস্য লে: কর্নেল অব: মো: নজরুল ইসলাম হীরু বীর প্রতীকের সাথে বিশ্বস্থ সৈনিক হিসেবে প্রতিটি মিটিং মিছিলে দলীয় কর্মকান্ডে সাথে থেকে কাজ করে গেছেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো নরসিংদী সদর ১ আসনে জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত লে: কর্নেল অব: মো: নজরুল ইসলাম হীরু বীর প্রতীক নৌকা মার্কার দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হন। নৌকা মার্কার দলীয় প্রার্থী লে: কর্নেল অব: মো: নজরুল ইসলাম হীরু বীরপ্রতীকের সাথে অতীতের মতো আজো বিশ্বস্থ হয়েই নরসিংদী সদর ১ আসনের আওতাধীন ১৪টি ইউনিয়ন ২টি পৌরসভায় সব কয়টি ইউনিয়নে দলীয় প্রার্থীর সাথে সফর সঙ্গী হিসেবে নির্বাচনী প্রচারনায় থেকে পথ সভা গনসংযোগ করেছেন দিন রাত সমান তালে। ৫ জানুয়ারী দশম সংসদ নির্বাচনের দিন নিজ এলাকার কেন্দ্র মাধবদী এস.পি স্কুলের কেন্দ্রে সন্ত্রাসী ও বিরোধী পক্ষের ককটেল নিক্ষেপ বোমাবাজী সহ ব্যাপক গন্ডগলের মাঝে মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে থেকে কেন্দ্র পাহারা দিয়ে ভোটারদের নির্বিঘেœ ভোট দেওয়ার জন্যে ব্যবস্থা করে এই নূর আমিন। ভোটের দিন তৎকালীন নরসিংদী জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম শান্তিপূর্ণ ভোট কেন্দ্রে এসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশ দিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থায় কেন্দ্রে আসা আগত ভোটারদের লাঠি দিয়ে আঘাত করে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাঁধা দিয়ে সবাইকে ছত্র ভঙ্গ করে দেয়। নৌকা মার্কার দলীয় প্রার্থীর ভোটারদের ভোট দেওয়ার স্লিপ লেখার কেন্দ্রে এসে জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম স্লিপ লেখার জন্যে বাঁধা দেন হুমকি দেন। নৌকা মার্কার দলীয় প্রার্থীর কেন্দ্র দায়িত্বরত মাধবদী শহর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মোশাররফ হোসেন মানিককে ও স্লিপ লেখার দায়িত্বরত মাধবদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো: নুর আমিন সহ একাধীক ব্যক্তিকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম মাধবদী এস.পি স্কুলের কেন্দ্রে বিশৃংখলার জন্যে সাদা কাগজে নাম ঠিকানা সহ মামলা করার জন্যে লিপিবদ্ধ করে নেন এবং নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যায়। ব্যাপক সম্যস্যার পর কেন্দ্র পাহারা ও ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে নৌকা মার্কা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়। নির্বাচিত এম পি লে: কর্নেল অব: মো: নজরুল ইসলাম হীরু বীর প্রতীকের সাথে বিশ্বস্থ হিসেবে এখনও পর্যন্ত রয়েছেন। ২০০৮ থেকে ২০১৭ সাল এই দীর্ঘ সময়ে নরসিংদী সদর ১ আসনে দুইবারের এমপি মাননীয় পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে: কর্নেল অব: মো: নজরুল ইসলাম হীরু বীরপ্রতীক সাহেবের সাথে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে মিটিং মিছিলে ছিলেন। এমপি মহোদয় নরসিংদী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হওয়ার সুবাদে নরসিংদী জেলার অন্তর্গত প্রায় সবগুলো উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে ও নরসিংদী সদর উপজেলার আওতাধীন ১৪টি ইউনিয়ন ২টি পৌরসভা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। এমপি মহোদয়ের একজন বিশ্বস্থ আস্থাভাজন সৈনিক হিসেবে এখনও পর্যন্ত রয়েছেন তিনি। সময়ের প্রয়োজনে বয়সের বিধানে সফল ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতি শেষ করে ২০১৭ সাল থেকে মাধবদী শহর যুবলীগকে গতিশীল ও শক্তিশালী করতে মাধবদী শহর যুবলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ভাবে যুক্ত হয়েছেন তিনি। বর্তমানে নিজ ওয়ার্ড মাধবদী পৌরসভা টাটাপাড়া ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের প্রথমে ১৩ জানুয়ারী তারিখে কার্যকরী সদস্য ও পরে গত ৩০ এপ্রিল ১৭ইং তারিখে ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে যুবলীগের রাজনীতিতে শুভসূচনা করে সে তার পথচলা শুরু করে। যে অবস্থায় থাকেন না কেন নি:স্বার্থ ভাবে মৃত্যু অবদি আজীবন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের, জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে তিনি নিজেকে গর্ববোধ করেন। নূর আমিন বলেন এই পরিচয় তার অহংকার তার গর্ব। ভবিষৎতেও যেন নি:স্বার্থ ভাবে মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারেন সে জন্য তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করেন।

 

 

Related posts