শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৪ আগস্ট ২০১৬
মোঃ আল আমিন, মাধবদী (নরসিংদী) সংবাদদাতা ঃ
মাধবদীর কাঠালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব রিয়াজুল শিকদারের বিরুদ্ধে অর্থ আতœসাৎ, দূর্নীতি ও সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত ইউনিয়নের কয়েকজন সদস্য ও এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত কাঠালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপি–২ প্রকল্পের ২০১৫/২০১৬ইং অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত দ্বিতীয় কিস্তির ১৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা আতœসাতের অভিযোগ তুলে স্থানীয় সরকার শাখা নরসিংদীতে দাখিল করা অভিযোগ থেকে জানাযায় কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের সচিব ছয়টি প্রকল্পের অনূকুলে প্রাপ্ত বরাদ্ধকৃত ১৪ লাখ ১৫ হাজার টাকা প্রকল্পের কাজ নাম মাত্র করে পুরো টাকা আতœসাৎ করেন। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কাঁঠালিয়া পাকা রাস্তা হতে সালাম মাওলানার বাড়ির রাস্তা গাইডওয়াল সহ (বরাদ্ধ ২ লাখ), কাঁঠালিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্টিলের আলমিরা সরবরাহ (বরাদ্ধ ২ লাখ), ইউনিয়নের দুঃস্থ মহিলাদের সেলাই মেশিন বিতরণ (বরাদ্ধ ৪ লাখ ১৫ হাজার), খড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে জাম্বুর বাড়ির রাস্তায় ইট বিছানো (বরাদ্ধ ২ লাখ), কাঁঠালিয়া ভুইঁয়া বাড়ির পাকা রাস্তা হতে জহিরুলের বাড়ির রাস্তায় ইট বিছানো (বরাদ্ধ ২লাখ), খড়িয়া পাকা রাস্তা হতে খানদের বাড়ি রাস্তায় ইট বিছানো (বরাদ্ধ ২ লাখ) প্রকল্প গুলোর কোনটারই সঠিক ভাবে কাজ হয়নি বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য ও ইউনিয়নবাসীর। এ ছয়টি প্রকল্পের মধ্যে ৬ জন প্রকল্প সভাপতি থাকার কথা থাকলেও একজন সভাপতির নাম পাওয়া গেছে তিনি হলেন ডাঃ আমিন। বাকি পাঁচ প্রকল্পের কোন সভাপতির সন্ধান পাওয়া যায়নি। ডাঃ আমিন জানান আমাকে ১টি প্রকল্পের সভাপতি মনোনীত করে বেশ কতগুলো স্বাক্ষর নিয়েছে। এ ৮ লাখ টাকার ৪টি রাস্তার কাজের নামে ঝাড়– মোছা বা ড্রেসিং ছাড়া অন্য কোন কাজ হয়নি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলমিরা সরবরাহ ২ লাখ টাকার বিপরীতে শুধু ৬টি আলমিরা দেখানো হয়েছে যার আনুমানিক মূল্য ৯০ হাজার টাকা। দুঃস্থ ও যুব মহিলাদেরকে সেলাই মেশিন দেয়ার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪লাখ ১৫ হাজার টাকা এর বিপরীতে মাত্র ১০টি সেলাই মেশিন দিয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ দেখিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের সফলতা দেখিয়েছে। সচিবের পরোক্ষ মদদে সরকারি মোটা অংকের টাকা বানিজ্য ও আতœসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীরা এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।