শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২ অক্টোবর ২০১৬
টিউমার হচ্ছে শরীরের কোনও অঙ্গে কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। এবং এই টিউমারটি যখন ব্রেনের ভেতরে হয় তখন সেটাকে আমরা বলি ব্রেন টিউমার। এটি একটি প্রাণঘাতী রোগ বলেই মনে করা হয়। ফি বছর সারা বিশ্বে বহু মানুষ এতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ব্রেন টিউমারের কারণ সেভাবে দেখতে গেলে এখনও অজানা। বংশগত কারণেও অনেক সময়ে ব্রেন টিউমার হতে পারে। ব্রেন টিউমার মানেই তা ক্যানসার এটা ভুল ধারণা। কিছু কিছু টিউমার আছে যা দুরারোগ্য। তবে অনেক টিউমার রয়েছে যা সম্পূর্ণভাবে সেরে উঠতে পারে।
মস্তিষ্কে টিউমার হলে মানসিক নানা সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ পায়। গবেষকরা জানিয়েছেন মস্তিষ্কে টিউমার হলে মনের মধ্যে অবসাদ, উদ্বেগ, বিভ্রান্তি ও সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো নানাবিধ সমস্যা হতে পারে। অনেকে ক্ষেত্রে আত্মহত্যার প্রবণতাও তৈরি হয়।
ব্রেইন টিউমারের কয়েকটি লক্ষণ নিচে দেয়া হলো :
নিয়মিত মাথাব্যথা
সাধারণভাবে অনেকেরই নিয়মিত মাথাব্যথা হয়। ব্রেন টিউমারের ক্ষেত্রেও তেমনই ব্যথা হয়। সাধারণভাবে তাকে আলাদা করা যায় না। ফলে কোনও সমস্যা বুঝলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চোখে কম দেখা
অনেক সময়ে রোগী এই বিষয়টি ধরতে পারেন না। ব্রেন টিউমার হলে দৃষ্টিশক্তিতে খানিক পরিবর্তন হয়, কমে আসে। তবে অনেকে সেটাকে শারীরিক বা চোখের ক্লান্তি বলে উড়িয়ে দেন।
অস্পষ্ট উচ্চারণ
ব্রেন টিউমার মস্তিষ্কের সামনের দিককে আক্রমণ করে। অনেক সময়ে রোগীর কথা আটকে যায় বা কথা বলতে অসুবিধা হয়। এমন বুঝলে সেই ব্যক্তিকে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
মুডের হেরফের
ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হলে অবসাদ, ক্ষিপ্রতা, উদ্বেগ ও অশান্ত মনে হয় নিজেকে। মস্তিষ্কে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কারণেই এমন হয়।
শ্রবণ অক্ষমতা
ব্রেন টিউমারের কারণে কানে শোনার ক্ষমতা খানিক কমে আসে। তা খুব বেশি মাত্রায় না হওয়ায় অনেকে তা এড়িয়ে যান।
বন্ধ্যাত্ব
এই লক্ষণটিকে ব্রেন টিউমারের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে কেউ মানতে চাইবেন না। তবে ব্রেন টিউমার পিটুইটারি গ্ল্যান্ডকে আক্রান্ত করে ও পুরুষ বা মহিলা উভয়ের ক্ষেত্রেই বন্ধ্যাত্ব নিয়ে আসে।
ভারসাম্য কমে যাওয়া
ব্রেন টিউমারের ফলে শরীরের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। সমবেতভাবে মস্তিষ্কের সমস্ত সিগন্যাগ সব অঙ্গে সময়ে পৌঁছয় না। ফলে নানা অসুবিধা হয়।