শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৫ অক্টোবর ২০১৬
তিন দিনের সফরে ঢাকা আসছেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের সাফল্য দেখতেই তার এই সফর। রোববার ঢাকায় আসার পর তিনদিন বাংলাদেশে অবস্থান করবেন কিম। বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, তিন দিনের সফরের কর্মসূচির মধ্যে ১৭ অক্টোবর ‘বিশ্ব দারিদ্র্য বিমোচন দিবস’-এ দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে একটি ‘পাবলিক লেকচার’-এ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেবেন তিনি। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ অর্থনীতিবিদরা বক্তৃতা করবেন।
ঢাকায় অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করবেন কিম। পাশাপাশি বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশের কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পও তিনি ঘুরে দেখবেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জিম ইয়ং কিম হবেন বিশ্বব্যাংকের ৫ম প্রেসিডেন্ট যিনি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তৎকালীন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট স্ট্রেঞ্জ ম্যাকনামারা প্রথম বাংলাদেশ সফর করেন। সর্বশেষ ২০০৭ সালের নভেম্বর তৎকালীন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রবার্ট বি. জোয়েলিক দুই দিনের সফরে বাংলাদেশ এসেছিলেন। এছাড়াও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ইতোপূর্বে বাংলাদেশ সফর করেছেন পল উলফোভিজ। ২০০৪ সালে সফরে আসেন জেমস ডি. উলফেনসন। দক্ষিণ কোরীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিক জিম ইয়ং কিম ২০১২ সালের পহেলা জুলাই বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত হন।
কিমের এ সফরকে গুরুত্বের সাথে দেখছে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রতিবছর তাদের সহায়তার পরিমাণ বাড়াচ্ছে। জিম ইয়ং কিম এ সফরকালে সহযোগিতা আরো সম্প্রসারণের নতুন ঘোষণা আসতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনসহ এমডিজি অর্জনে বাংলাদেশ অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, উন্নয়নশীল বিশ্বে অনুকরণীয় হয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় মাথাপিছু আয় কম হওয়া সত্ত্বেও শিশু মৃত্যু হার, মাতৃ মৃত্যুহার কমানোয় সাফল্য দেখিয়েছে। বাংলাদেশ দেখিয়েছে প্রবৃদ্ধি দারিদ্র্য বিমোচনের একমাত্র অবলম্বন নয়। স্বল্প আয় নিয়েও অনেক অর্জন সম্ভব। এই সাফল্য দেখতেই বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।