শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৩ আগস্ট ২০১৬
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম হজফ্লাইট বিজি-১০১১ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে যাত্রীদের বিদায় জানাবেন।
একই দিনে হজফ্লাইট বিজি-৩০১১ দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে ৪১৯ জন, বিজি-৫০১১ বিকেল ৫টায় ৪১৯ জন এবং শিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে।
নির্ধারিত সময়ে, নির্বিঘ্নে হজফ্লাইট পরিচালনার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। চট্টগ্রাম এবং সিলেট থেকেও এ বছর যথারীতি প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশকোনাস্থ হজক্যাম্পে হজ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
এ বছর হজফ্লাইট ও শিডিউল ফ্লাইটে মোট ৫১ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ পালনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে জেদ্দা যাবেন। এসব হজযাত্রীকে ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে পারাপারের জন্য বিমান ইতোমধ্যেই নিজস্ব সুপরিসর বোয়িং ট্রিপল সেভন উড়োজাহাজ প্রস্তুত রেখেছে। ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটেও কিছু হজযাত্রী পবিত্র ভূমিতে যাবেন।
বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০১,৭৫৮ জন হজযাত্রী পবিত্র হজব্রত পালনে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন মোট ৫২০০ জন অবশিষ্ট ৯৯ হাজার ৫৫৮ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়। এ বছর বিমানে যাবেন মোট ৫১ হাজার হজযাত্রী, এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৫২০০ অবশিষ্ট ৪৫ হাজার ৮০০ জন যাবেন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায়।
এ বছর ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে হজযাত্রীদের ইকনোমি ক্লাসে বিমান ভাড়া ১৪৭৫ মার্কিন ডলার এবং বিজনেস ক্লাসে বিমান ভাড়া ২৪৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হবে দেয় অন্যান্য কর। ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়নকাল হবে আনুমানিক ৭ ঘণ্টা।
দুই মাসব্যাপি হজফ্লাইট পরিচালনায় শিডিউল ফ্লাইটসহ মোট ২৮১টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে, যার মধ্যে ২২০ ‘ডেডিকেটেড’ এবং ৬১টি শিডিউল ফ্লাইট। ৪ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ‘প্রি-হজ’-এ মোট ১৪৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে (ডেডিকেটেড-১১২ এবং শিডিউল-৩২)। পোস্ট-হজে ১৩৭টি ফ্লাইট চলবে ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত (ডেডিকেটেড-১০৮ এবং শেড্যুল-২৯)। ৫২০০ জন সরকারি ব্যবস্থাপনার যাত্রীসহ মোট ৫১ হাজার জন হজযাত্রী হজ পালনের জন্য ক্যারিয়ার হিসেবে বিমানকে ব্যবহার করবেন। হজফ্লাইট পরিচালনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-জেদ্দা উভয় স্থানেই বিশেষ ব্যবস্থার আয়োজন করেছে।
প্রত্যেক হজযাত্রী বিনামূল্যে সর্বাধিক দুই পিস ৪৬ কেজি মালামাল বিমানে ও বিজনেস ক্লাসের জন্য সর্বাধিক দুই পিস ৫৬ কেজি এবং কেবিন ব্যাগেজে ৭ কেজি মালামাল সঙ্গে নিতে পারবেন। কোনো অবস্থাতেই প্রতি পিস ব্যাগেজের ওজন ২৩ কেজি এবং বিজনেস ক্লাসে ২৮ কেজির বেশি হতে পারবে না। প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য পাঁচ লিটার জমজমের পানি ঢাকায় নিয়ে আসা হবে এবং হাজী সাহেবানরা ঢাকা ফেরৎ আসার পর তাঁদেরকে তা প্রদান করা হবে।
যেকোনো ধারালো বস্তু যেমন ছুরি, কাঁচি, নেইল কাটার, ধাতব-নির্মিত দাঁত খিলন, কান পরিষ্কারক, তাবিজ ও গ্যাস-জাতীয় বস্তু যেমন অ্যারোসল এবং ১০০ এমএলের বেশি তরল পদার্থ হ্যান্ড ব্যাগেজে বহন করা যাবে না এবং কোনো প্রকার খাদ্য সামগ্রী সঙ্গে নেয়া যাবে না।