বিমানের জরুরি অবতরণ ও ব্যাখ্যা

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২২  ডিসেম্বর  ২০১৬

বিমানের জরুরি অবতরণ ও ব্যাখ্যা

বিমানের জরুরি অবতরণ ও ব্যাখ্যা

যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ে মাসকাট ফেরত বিমানের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করার ঘটনায় প্রকৃত ঘটনার বিবরণ দিয়েছে।

বিমানের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-১২২ বাংলাদেশ সময় ভোররাত ৪টা ৪৮ মিনিটে মাসকাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে।

বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ফ্লাইটটি টেকঅফ করার পর মাসকাট বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেনকে জানানো হয় যে, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে তা সম্ভবত বিমানের ফ্লাইটের হতে পারে। এমতাবস্থায়, ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন অধিকতর নিরাপত্তার স্বার্থে চট্টগ্রামের পরিবর্তে ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৭ মিনিটে নিরাপদে অবতরণ করেন।

এ সময় ঢাকায় জরুরি অবতরণের জন্য সবধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। ল্যান্ডিংয়ের পূর্বে ফ্লাইটটি রানওয়ের উপর দু’বার লো-লেভেল ফ্লাই করে তখন লক্ষ্য করা যায় যে, উড়োজাহাজের পেছনের বামদিকের ২ নম্বর টায়ারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওই ফ্লাইটে ১৪৯ জন যাত্রী ও ৭ জন ক্রু ছিলেন। ফ্লাইটের সব যাত্রী এবং ক্রু সুস্থ ও নিরাপদ আছেন বলে জানায় বিমান কর্তৃপক্ষ।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটের দিকে মাসকাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে যাত্রা করে বিমানের বিজি-১২২ ফ্লাইট। বিমানটিতে ১৪৯ জন যাত্রী ও ৭ জন কেবিন ক্রু ছিলেন। দেশে ফেরার সময় পাইলট লক্ষ্য করেন উড়োজাহাজের একটি চাকা বিস্ফোরিত হয়েছে। এসময় তিনি বিমানের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন।

এ অবস্থায় চট্টগ্রামে না গিয়ে ঢাকায় ফিরে আসে উড়োজাহাজটি। নিরাপদে অবতরণের জন্য জ্বালানি তেল কমাতে অতিরিক্ত সময় আকাশে উড়ে উড়োজাহাজটি। এছাড়া বিমানের প্রকৌশলীরা রানওয়েতে গিয়ে অবস্থান নেন এবং পাইলট দু’বার লো ফ্লাই করেন। পরবর্তীতে নিরাপদে বিমানটি শাহজালালে অবতরণ করে।

 

Related posts