বিজ্ঞানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন : প্রধানমন্ত্রী

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ১০  অক্টোবর  ২০১৬

বিজ্ঞানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন : প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রচলিত ভ্রান্ত বিশ্বাস ও কুসংস্কারের ঊর্ধ্বে উঠে সর্বস্তরের জনগণের জন্য বিজ্ঞানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি  আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস-২০১৬ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রচলিত ভ্রান্ত বিশ্বাস ও কুসংস্কারের ঊর্ধ্বে উঠে সর্বস্তরের জনগণের জন্য বিজ্ঞানসম্মত মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন। আমাদের সরকার মানসিক স্বাস্থ্য সেবাসহ সকল ধরণের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অধিকার ও সুযোগের সমতা বিধানে বদ্ধপরিকর।

১০ অক্টোবর ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০১৬’ উপলক্ষে রোববার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বাণীতে তিনি বলেন, মানসিক রোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ অসংক্রামক ব্যাধি। মানসিক রোগের কারণে মানুষের কর্মদক্ষতা হ্রাস, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, পেশাগত ও সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিগণ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক বৈষম্যের শিকার হন। সুযোগের সমতা ও সম্মান থেকে বঞ্চিত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারই ২০০১ সালে শেরে বাংলা নগরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে যা ছিল মানসিক স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতিতে একটি মাইলফলক। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানসিক স্বাস্থ্য, মানসিক রোগ চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। আমরা মানসিক স্বাস্থ্যসেবাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছি।

তিনি আরো বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ১০ অক্টোবর ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০১৬’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। একইসঙ্গে ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০১৬’ এর সাফল্য কামনা করেন তিনি।  তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সঙ্কটে প্রাথমিক মানসিক স্বাস্থ্যসেবা শারীরিক স্বাস্থ্যসেবার মত সমান গুরুত্বপূর্ণ। এ দৃষ্টিকোণ থেকে এবারের বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ও মানসিক স্বাস্থ্যে মর্যাদাবোধ-সবার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য সহায়তা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

সারা বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই দিবস পালন করা হয়।

 

 

Related posts