শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৫ জানুয়ারি ২০১৭
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করলে ওই প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। ভোক্তা অধিদফতরের কর্মকর্তারা এমনটিই জানিয়েছেন।
তথ্য মতে, মেলায় পণ্য ক্রয়ে ওজন বা পরিমাপ সঠিক না দিলে, ক্ষতিকর দ্রব্য মিশিয়ে পণ্য বিক্রয় করলে, ভেজাল ও নকল পণ্য বিক্রি করলে, নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যে অতিরিক্ত মূল্য নিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে অধিদফতর। এসব বিষয়ে গ্রাহককে ভোক্তা অধিদফতর অফিসে জানাতে অনুরোধ করা হয়েছে। ভোক্তা অধিদফতর অভিযোগ পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মেলায় অবস্থিত অধিদফতরের (অস্থায়ী কার্যালয়) দায়িত্বরত প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জাগো নিউজকে বলেন, ভোক্তাদের স্বার্থে মেলায় সার্বক্ষণিক মনিটারিং ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। যারা আইনের নির্দেশনা অমান্য করে অনৈতিকভাবে ব্যবসা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- হোসেন ট্রেডিং, ইরানী পণ্যের সমাহার ও হেভেন হারবাল। এর মধ্যে পণ্যের তালিকা না থাকায় হোসেন ট্রেডিংকে ৫ হাজার টাকা ও ইরানী পণ্যের সমাহারকে পাঁচশ টাকা এবং ভুয়া পণ্য বিক্রি করায় হেভেন হারবালকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, যদি কোনো প্রতিষ্ঠান ওজনে কারচুপি করে, পণ্যের মোড়কে খুচরা বিক্রয় মূল্য না লেখে বা নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্য দাবি করে তাহলে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুসারে ১ বছর কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে। অপরদিকে কোন পণ্যে ক্ষতিকর দ্রব্য মেশালে বা নকল পণ্য বিক্রি করলে আইন অনুযায়ী ৩ বছর কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে। মেলায় প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ৩০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ২০ টাকা।