‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চার্জশিটে জিয়ার নামও থাকতো’ ঃ খাদ্যমন্ত্রী

 শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৪  আগস্ট ২০১৬

‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চার্জশিটে জিয়ার নামও থাকতো’ ঃ খাদ্যমন্ত্রী

‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চার্জশিটে জিয়ার নামও থাকতো’ ঃ খাদ্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় চার্জশিট দেওয়ার সময় যদি জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকতেন তবে তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হত।

 জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক গোল টেবিল আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

 কামরুল ইসলাম বলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে বহু রাষ্ট্রনায়ককে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ে যে নির্মম আচরণ করা হয়েছে পৃথিবীর আর কোথাও সেই নজীর নেই। স্ত্রী-শিশুপুত্রসহ স্বপরিবারে হত্যা করা হয় তাকে। ৭১’এর প্রতিশোধ নিতেই ৭৫’এর ১৫ আগস্ট এই হত্যাকান্ড- ঘটানো হয।

 মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষ্যতে উঠে এসেছে যে, ডালিম কথা বলেছেন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে। জিয়ার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার অনুমতি নিয়েছেন। হত্যাকা- সংঘটনের কয়েকদিন আগে জিয়াউর রহমান এবং ডালিম ক্যান্টনমেন্টে কর্ণেল ফারুক রহমানের কাছে যান এবং তার কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার অনুমতি নেন। ফারুক তাদের অনুমতি দেন। সে সময় জিয়া বলেছেন, তোমরা এগিয়ে যাও, আমি তোমাদের সঙ্গে আছি। কুমিল্লার বার্ডেও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মিটিং হয়। সাক্ষ্যে তা উঠে এসেছে। সেখানে মোশতাকও ছিলেন।

 বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘হত্যা, ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে জন্ম হয়েছে বিএনপির। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে থেমে যায়নি, সেই গোষ্ঠী শেখ হাসিনাকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। আর এরাই এখন জঙ্গিতে পরিণত হয়েছে।’

 কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেছেন, জঙ্গিদের আদালত পর্যন্ত পৌঁছাতে দেওয়া হয় না।’ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘তাহলে কি জঙ্গিদের আদর করবে? সারা বিশ্বে যে পদ্ধতি ব্যবহার করে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও একই পদ্ধতি ব্যবহার করে। এটাই উত্তম পন্থা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সফল হচ্ছে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই আর বাংলাদেশে জঙ্গি খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

 সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আবদুস সালাম মৃধা, অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান।

 

 

 

Related posts