শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৪ জানুয়ারি ২০১৭
সুন্দর ফ্রেমের চশমা মানুষকে বেশ আকর্ষণীয় ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন করে তোলে। তাই অনেকে আত্মীয়স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের চশমা চোখে দিয়ে কৌতূহল নিয়ে জানতে চান কেমন লাগছে। তবে চশমা যে মানুষের চেহারায় পরিবর্তন নিয়ে আসে এটা শতভাগ সত্যি। আর এ পরিবর্তনটাই যেন অনেকের কাম্য।
প্রয়োজনের পাশাপাশি ফ্যাশন হিসেবেই অনেকে এটিকে ব্যবহার করছেন, অনেকে আবার শুধু প্রয়োজনেই ব্যবহার করছেন। আপনার চশমার প্রয়োজন আছে কি-না তা বুঝতে পারবেন আপনি নিজেই। বই-পুস্তক বা সংবাদপত্র পড়ার সময় ঝাপসা দেখলে কিংবা রাস্তায় হাঁটার সময় একটু দূর থেকে বাসের নাম্বার অথবা দোকানের সাইন বোর্ডের লেখাগুলো পরিষ্কার না দেখলে বুঝতে হবে আপনার চোখে সমস্যা আছে। আর এমন হলে দেরী না করে চক্ষু ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত।
বর্তমানে চশমায় এসেছে বাহারি সব ডিজাইন। কেউ বেছে নিচ্ছেন প্লাস্টিকের মোটা ফ্রেম, কেউ নিচ্ছেন চিকনের মধ্যে। কেউ কেউ আবার পছন্দ করছেন রিমলেস। তবে চশমার ফ্রেম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় লক্ষ্য করলে এ জিনিসটি হয়ে উঠতে পারে আপনার সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্বের প্রতীক। চশমার ফ্রেম বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে সেটি মুখের সঙ্গে মানানসই হচ্ছে কি-না, এ ছাড়া চশমার ব্রিজ এবং গায়ের রঙের সঙ্গে ফ্রেমের রঙ যাচ্ছে কি-না এ বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে। মুখের আকারের সঙ্গে ফ্রেমের ধরন নির্বাচনও অন্যতম বিবেচ্য বিষয়। মুখ গোলাকার হলে একটু লম্বাটে ফ্রেম হলে ভালো মানায়। এ ছাড়া আয়তকার বা কোনা একটু উঁচু ফ্রেমও ভালোই যায়। তবে যাদের মুখ কিছুটা ডিম্বাকৃতির তাদের ক্ষেত্রে যে কোনো ফ্রেমই মানিয়ে যায়। আকৃতির পাশাপাশি গায়ের রঙের সঙ্গে মানিয়ে যায় এমন ফ্রেম বেছে নিতে হবে। কেননা সুন্দর একটি ফ্রেম কিনার পর যদি সেটি গায়ের রঙের সঙ্গে না যায় তাহলে তা সৌন্দর্যতা বা ব্যক্তিত্বের ছাপ ফুটিয়ে তুলতে ব্যর্থ হয়। চশমা যখন ফ্যাশন
গায়ের রঙ ফর্সা হলে ব্যবহার করতে পারেন অপেক্ষাকৃত হালকা রঙের প্লাস্টিক ফ্রেম, তবে মেটাল ফ্রেমও বেছে নিতে পারেন। শ্যামবর্ণের ক্ষেত্রে সোনালি, রূপালি বা যে কোনো স্বচ্ছ রঙ মানাবে। এ ক্ষেত্রে বাদামি রঙটাও ভালোই মানিয়ে যায়। চশমার ওপরের অংশ যাতে ভ্রূকে আড়াল করে না দেয় আর নিচের অংশ যেন গাল না ছোঁয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন। তাছাড়া লেন্সের মাঝ বরাবর থাকবে চোখের মণি। শুধু ফ্যাশনের কথা মাথায় রাখলে চলবে না, চশমাটি ব্যবহারযোগ্য এবং আরামদায়ক কি-না সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে। আর চশমার গ্লাসটি হতে হবে চোখের জন্য শান্তিদায়ক। তাই চোখের প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন গ্লাস। চাইলে আবার গ্লাসটি কালারও করে নিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ফ্রেমের কালারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে
এবার আসা যাক চশমার যত্ন প্রসঙ্গে। নিত্যব্যবহার্য অন্যান্য জিনিসের মতো চশমারও যত্ন নিতে হবে। নিয়মিত যত্ন না নিলে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাবে আপনার পছন্দের চশমাটি। চশমা সব সময় দুই হাতে ধরে পরতে হবে খুলতেও হবে একই নিয়মে। তাতে চশমার ধার নষ্ট হয় না। ধুলাবালি ও ঘামে ভিজে চশমা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, চশমা ক্লিনার দিয়ে নরম শুকনো সুতি কাপড় দিয়ে চশমার লেন্স মুছে ফেলুন। এতে চশমা দীর্ঘদিন ঝকঝকে থাকবে।
চশমা চোখ থেকে খুলে এমনভাবে রাখতে হবে যেন চশমার লেন্স দুটো কোনো স্থান স্পর্শ না করে। আর তাই চশমা কোনোভাবেই উপুড় করে রাখা যাবে না। তাতে লেন্স দাগ পড়ে যায়। এ ছাড়া চশমা কখনও ডিটারজেন্ট বা সাবান দিয়ে ধোয়া যাবে না। তাতে চশমা ঘোলা হয়ে যায়। চশমার লেন্স কখনও হাত দিয়ে ধরবেন না। যাদের চশমা ছাড়া চলে না তারা একাধিক চশমা রাখতে পারেন যাতে কোন সমস্যায় না পড়তে হয়।হবে।
ব্র্যান্ডের রোদচশমা : ব্র্যান্ডের চশমার মধ্যে রে ব্যান, আরমানি, পোলিস, গুচি, ফাস্টট্র্যাক ইত্যাদি বেশ জনপ্রিয়। তবে দামি মডেলগুলো কমে পাওয়া যায় আর বেশির ভাগই মূলত আসল রোদচশমাও উন্নতমানের রেপ্লিকা। আর ক্রেতারা ব্র্যান্ড দেখে নয়, মূলত গুণগতমান দেখেই সানগ্লাস কিনে থাকেন। ব্র্যান্ডের রোদচশমাগুলো সবচেয়ে বেশি আনা হয় ইতালি থেকে। এ ছাড়া জাপান, চিন ফ্রান্স, আমেরিকা থেকেও কিছু সানগ্লাস আনা হয়।
কোথায় পাবেন : ঢাকার নিউমার্কেট, ধানমন্ডি, বসুন্ধরা শপিংমল, যমুনা ফিউচার পার্ক, গুলশান, উত্তরা ও বনানী এবং অন্য শপিংমলগুলোতেই সীমাবদ্ধ না আপনি পেতে পারেন আপনার কাছাকাছি মার্কেট গুলোতেও মনের মতো রোদচশমা।
দরদাম : ভালো ব্র্যান্ডের গ্লাসের দাম একটু বেশি। গ্লাসের দাম সাধারণত ব্র্যান্ড ও ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে। ব্র্যান্ডের রোদচশমা দাম পড়বে প্রায় ২৫০০ থেকে ১২৫০০ টাকা। এ ছাড়া ভালো ব্র্যান্ডের রিপ্লেকাও পাবেন আপনার সাধ্যের মধ্যে।