ফারাক্কার গেট খুলে দিচ্ছে ভারত

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২৩  আগস্ট ২০১৬

ফারাক্কার গেট খুলে দিচ্ছে ভারত

ফারাক্কার গেট খুলে দিচ্ছে ভারত

ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ফারাক্কা বাঁধের প্রায় সবগুলো গেট খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

ভারতের কর্মকর্তারা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত ফারাক্কা বাঁধের গেটগুলো খুলে পানি ছেড়ে দিলে বিহার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি বাংলা।

দেশটির কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র সমীর সিনহা জানান, বর্ষাকালে এমনিতেই অন্য সময়ের তুলনায় ফারাক্কায় বেশি গেট খোলা থাকে।

কিন্তু বিহার রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ফারাক্কার ১০৪টি গেটের মধ্যে প্রায় ১০০টি গেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলছেন, এসব গেট খুলে দিলে ১১ লাখ কিউসেক পানি সরে যাবে। এতে করে বিহারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

বিহার রাজ্যে গত এক সপ্তাহে ১০ লাখের বেশি মানুষ বন্যা কবলিত হয়েছে। ফারাক্কায় গেটগুলো খুলে দেয়ার বিষয়ে বাংলাদেশকে আগেই নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে এবং এনিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়েছে বলে সমীর সিনহা উল্লেখ করেন।

বর্ষার মওসুমে এটিকে ‘স্বাভাবিক ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেন ভারতের কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

এদিকে, বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র এবং যৌথ নদী কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বছরের এ সময়টিতে ফারাক্কার গেটগুলো খোলা থাকার কথা। নতুন করে গেট খুলে দেয়ার কিছু নেই বলে কর্মকর্তারা মনে করেন।

বাংলাদেশে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ১১ লাখ কিউসেক পানির প্রবাহ যদি বাংলাদেশের ভেতরে আসে তাহলে বাংলাদেশ অংশে পদ্মায় পানি বাড়বে কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হবে না।

যেহেতু এখন ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় পানি কমছে সেজন্য পদ্মার পানি বাড়লেও সেটি কোনো বন্যা পরিস্থিতির তৈরি করবে না বলে মনে করেন কর্মকর্তারা। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজ্জাদ খন্দকার জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ভেতরে ব্রহ্মপুত্র-যমুনার ভেতর দিয়ে সবচেয়ে বেশি পানি প্রবাহিত হয়।

গত দু’সপ্তাহ ধরে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে বিহার ছাড়াও মধ্য প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডেও বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। এসব এলাকায় নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সোমবার রাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিহার এবং উত্তর প্রদেশে জরুরি সহায়তা দল পাঠানো হয়েছে।

 

Related posts