প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন দেশের প্রথম ৮ লেন সড়ক

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৪  আগস্ট ২০১৬

 দেশের প্রথম ৮ লেন সড়ক চালু

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন দেশের প্রথম ৮ লেন সড়ক

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন দেশের প্রথম ৮ লেন সড়ক

  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর সেতু পর্যন্ত আট লেন সড়কের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 শনিবার দুপুর ১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সড়কের উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম আট লেন যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর সড়ক যাত্রা শুরু করল।

 প্রধানমন্ত্রী একইসঙ্গে পদ্মা সেতুর মাওয়া ও শিবচর প্রান্তে পাঁচ্চর-ভাঙ্গা জাতীয় মহাসড়কে চার লেন প্রকল্প কাজের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন দেশের প্রথম ৮ লেন সড়ক

 শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুরে আট লেন সড়কে যাত্রা শুরু হলো। এর পাশাপাশি মাওয়া ও শিবচর প্রান্তে পাঁচ্চর-ভাঙ্গা চার লেন অর্থাৎ পদ্মা সেতুর লিংক রোড নির্মাণের কাজের উদ্বোধন করা হলো। এ উন্নয়ন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। যাত্রাবাড়ীতে হলো দেশের প্রথম আট লেন সড়ক। এই জায়গা আগেই ছিল। কিন্তু কেউ উদ্যোগ নেয়নি। এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এই দুই প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের অর্থনৈতিক গতিশীলতা আরো বাড়বে। দারিদ্র্য বিমোচনে আরো অবদান রাখবে এই দুই প্রকল্প। ইনশাআল্লাহ জাতির পিতার সোনার বাংলা আমরা গড়ে তুলব।’

 তিনি বলেন, ‘আমরা যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো হাতে নিয়েছি তা অবশ্যই একদিন সাফল্যের মুখ দেখবে। আমি সব সময় বিশ্বাস করি, জাতির পিতা নিশ্চয় দেখছেন তার স্বপ্নের বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দুঃখী মানুষের মুখে ইনশাআল্লাহ হাসি ফুটবে। শুধু এই আকাঙ্ক্ষাকে সঙ্গে নিয়ে দেশের উন্নয়নকাজ করে যাচ্ছি।’

 পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রথমে বিরাট হোচঁট খেয়েছিলাম। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই দেশ স্বাধীন করেছি, বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। কারো আধিপত্য, অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত করিনি। আজ নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। বাংলাদেশ যে পারে সেটা প্রমাণ করেছি। অনেক বাধাঁর মধ্য দিয়ে চলছি, চলতে হবে; সেটা আমরা জানি। সেই বাধা অতিক্রম করে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাব, এটা আমার প্রতিশ্রুতি।’

 যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর সড়ক দেশের প্রথম আট লেনের সড়ক। এই সড়কটি ৭ দশমিক ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। যাত্রাবাড়ীর ব্যস্ত এলাকায় মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে যানবাহনের বাড়তি চাপ কমাতে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর সড়ক চার লেন থেকে আট লেনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের অধীনে নির্মিত এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৩২ কোটি টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট জাতীয় মহাসড়কে যুক্ত হওয়ার অন্যতম পথ এই যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর সড়ক।

 অন্যদিকে নির্মিতব্য পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে যাত্রাবাড়ী-মাওয়া ও শিবচর প্রান্তে পাঁচ্চর-ভাঙ্গা জাতীয় মহাসড়ক দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্পকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা। ঢাকা থেকে মাওয়া ও মাদারীপুরের পাঁচ্চর হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত চার লেন মহাসড়কের এই প্রকল্পটি ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। সড়ক ও জনপথ (সওজ) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এসডাব্লিউ-পশ্চিম প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

 প্রকল্প দুটি উদ্বোধনকালে সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

 

Related posts