শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৯ জুন ২০১৬
গতকাল বুধবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশের সফর অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে । সেখানে তিনি সৌদি আরব, বুলগেরিয়া ও জাপান সফরের অর্জনগুলো তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর তিনটি দেশে সাম্প্রতিক এই সফর নানা দিক থেকেই ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে তিন দিনের সফরটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। মর্যাদার দিক থেকে তিন দশকের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের জন্য এই সফরটি ছিল অনন্য। এর আগে গত মাসে গ্লোবাল উইমেন লিডার্স ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে বুলগেরিয়া গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বিশ্বনেতাদের ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করে। বুলগেরিয়া সফরের পর প্রধানমন্ত্রী জাপানে গিয়েছিলেন জি-৭ আউটরিচ বৈঠকে যোগ দিতে। জাপানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ শিল্পোন্নত দেশগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বেশ কিছু বৈঠকে মিলিত হন। সবমিলিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সফরগুলো ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সফল।
এসব সফরে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়া গেছে। বিশেষ করে সৌদি আরবে শ্রমবাজার খুলে যাওয়ার নতুন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছ। দেশটি শিগগিরই বাংলাদেশ থেকে আরো পাঁচ লাখ কর্মী নেবে এমন আশ্বাস পাওয়া গেছে। বাংলাদেশের প্রধান জনশক্তি রপ্তানি হয় সৌদি আরবে। সেখান থেকেই আসে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স। এ কারণে সৌদির শ্রমবাজার ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি। এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে বাংলাদেশি শ্রমিকরা বেশি করে সেখানে যেতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যার বিষয়টিও উঠে আসে। প্রধানমন্ত্রী গুপ্তহত্যাকারীদেরে উদ্দেশে বলেছেন, পাই পাই করে সবকিছুর হিসাব নেওয়া হবে। কোনো অপরাধই তামাদি হয় না। যুদ্ধাপরাধের বিচার যেমন হচ্ছে তেমনি সব গুপ্তহত্যার বিচার করার কথাও দৃঢ়ভাবে উচ্চারণ করেন তিনি। এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, হত্যাকারীদের হাত এখন পরিবারের দিকেও। এটা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। মনে রাখা প্রয়োজন সবারই কিন্তু পরিবার-পরিজন রয়েছে। এ ব্যাপারে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান তিনি।