শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২১ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তিন প্রধান প্রকৌশলীসহ ৯ জনকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, যে কোনো মুহূর্তে গ্রেফতার হচ্ছেন তারা।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ‘মনুষ্যসৃষ্ট’ ত্রুটির ঘটনায় বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাটেরিয়েল ম্যানেজমেন্ট) উইং কমান্ডার (অব.) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলা নম্বর ২৩।
এই মামলাটি তদন্তের দায়ভার নিয়েছেন খোদ বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এসএ সিদ্দিক ও প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এসএম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান। এজাহারভুক্ত আসামিদের ইতোমধ্যে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে ওসি নূরে আযম মিয়া বলেন, ‘তদন্ত নিজ গতিতে চলছে। তদন্তের চলমান প্রক্রিয়া অনুযায়ী এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। তাদের যে কোনো মুহূর্তে গ্রেফতার করা হবে।’
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, বিমানবন্দর ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বেশ কয়েকটি সংস্থা এ ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে। মামলা দায়েরের আগ থেকেই বিমানের প্রধান ইঞ্জিনিয়ারসহ এজাহারভুক্ত অনেককেই তারা নজরদারিতে রেখেছেন। তাদের দৈনন্দিন মুভমেন্ট অনুসরণ করা হচ্ছে। একটি সংস্থা ইতোমধ্যে তাদের বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে তা তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে ত্রুটি সারিয়ে ৪ ঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশে যায় বিমান। ওই উড়োজাহাজের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলে হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের কমিটি করে বিমান মন্ত্রণালয়।