শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ২ জুলাই ২০১৬
রাজধানীর গুলশানের আর্টিসান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় ঢাকা হামলার নিন্দা জানান নরেন্দ্র মোদি।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে দেয়া একাধিক পোস্টে বাংলাদেশের জনগণের পাশে ভারত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
টুইট বার্তায় নরেন্দ্র মোদি বলেন, এই শোকের মুহূর্তে বাংলাদেশের ভাই ও বোনদের পাশে দৃঢ়ভাবে রয়েছে ভারত।
রাজধানী ঢাকার গুলশানে শুক্রবার রাতের জঙ্গি হামলায় আহতরা শিগগিরই সুস্থ্ হয়ে উঠবেন বলেও প্রত্যাশা করেছেন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী অপর এক টুইটে বলেন, ‘ঢাকা হামলায় আমরা সীমাহীন কষ্ট পেয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছি, ঘৃণ্য হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছি’
এর আগে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ টুইট বার্তায় বলেন, আমি অত্যন্ত কষ্টের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ঢাকায় সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি ভারতীয় তরুণী তারুশিকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি বলছে, নিহত ওই তরুণীর নাম তারুশি জেইন। যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। ছুটি কাটাতে নিহত তরুণী ঢাকায় ছিলেন; যেখানে তার পিতা গার্মেন্টস ব্যবসা করেন।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় জঙ্গিরা। ধারালো অস্ত্র নিয়ে আল্লাহু আকবর বলে স্লোগান দেয় হামলাকারীরা। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ মোট ২৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এদের মধ্যে দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ছয় হামলাকারী রয়েছেন। শুক্রবার রাতেই জঙ্গিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ২০ জনকে হত্যা করে বলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাব সম্মিলিতভাবে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালিত হয়। কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে শনিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে অপারেশন শুরু করে ১২-১৩ মিনিটের মধ্যে সকল সন্ত্রাসীকে নির্মূল করে টার্গেট এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে অভিযানের সফল সমাপ্তি ঘটে সকাল সাড়ে ৮টায়।
সেনাবাহিনী বলছে, অভিযানের মাধ্যমে একজন জাপানি ও দুইজন শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ মোট ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অভিযানে সাতজন সন্ত্রাসীর মধ্যে ছয়জন নিহত ও একজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়।