শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৪ জানুয়ারি ২০১৭
বিশ্বায়নের যুগে রাষ্ট্রীয় কর্মকান্ড, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, গবেষণাসহ নানা কারণে এ দেশের মানুষকে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ভ্রমণ করতে হয়। সঙ্গত কারণেই পাসপোর্টের চাহিদা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেছেন, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। জনপ্রত্যাশা পূরণে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি আজ পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে এক বাণীতে একথা বলেন।
আব্দুল হামিদ বলেন, মনে রাখতে হবে যে, জনসেবাই সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য ও পবিত্র দায়িত্ব। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরকে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এবারের প্রতিপাদ্য : ‘পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার, নিঃস্বার্থ সেবাই অঙ্গীকার’- যথার্থ হয়েছে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের উদ্যোগে ‘পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ-২০১৭’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় পরিচয়পত্র। বিশ্ব দরবারে পাসপোর্ট কেবল নাগরিকের জাতীয় পরিচয়ই তুলে ধরে না, এর মাধ্যমে জাতির আভিজাত্য, দেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও ভাবমূর্তি ফুটে ওঠে। সময়ের পরিক্রমায় তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের সাথে সাথে এনালগ পাসপোর্ট পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতির উন্মেষ ও বিকাশ ঘটেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমান সরকার ২০১০ সালে এমআরপি ও এমআরভি বাস্তবায়নের পর এখন ই-পাসপোর্ট প্রণয়নের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। পাসপোর্ট সেবার মাধ্যমে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর দেশবাসী ও বাংলাদেশে আগত বিদেশি নাগরিকদের প্রশংসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর সেবার মানোন্নয়নে আরো তৎপর থাকবে- দেশবাসী তা প্রত্যাশা করে।