শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৮ আগস্ট ২০১৬
ফারাক্কার অধিকাংশ গেট খুলে দিয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এতে বাংলাদেশের নদীগুলোর পানি বাড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিন বাড়ছে পদ্মার পানি। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পদ্মাপাড়ের বাসিন্দারা।
রবিবার সকালে কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদী সম্পর্কে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ সেতু পয়েন্টে পানি বিপদসীমা থেকে মাত্র ৬ সেন্টিমিটার দূরে।
রবিবার গভীর রাতের মধ্যেই পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের।
জানা গেছে, হঠাৎ ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খুলে দেয়ায় উজান থেকে নেমে আসা পানিতে প্লাবিত হয় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৩৫টি গ্রাম। এছাড়া পাশের ভেড়ামারা উপজেলার দুটি গ্রামেও বন্যার পানি ঢুকে পড়ে।
শনিবার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আরও ৪টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।
বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় দুই ইউনিয়নের ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তলিয়ে গেছে প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ফসল। পানিবন্দি রয়েছেন প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ। প্রতিটি ঘরেই পানি ঢুকে যাওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন সেখানকার মানুষ। এসব এলাকায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ দিনে খেয়ে না খেয়ে কাটালেও রাতে সাপ-পোকামাকড়ের ভয়ে ঠিক মত ঘুমাতেও পারছেন না। গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন বানভাসি এলাকার মানুষ।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌফিকুর রহমান জানান, বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন তিনি। পরিদর্শনকালে তিনি পানিবন্দি মানুষের সাথে কথা বলেছেন এবং তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের জন্য দৌলতপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দিয়েছেন।