পাক-ভারত পরমাণু যুদ্ধ হলে মারা যাবে দুই কোটি মানুষ

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ১  অক্টোবর  ২০১৬

 

পাক-ভারত পরমাণু যুদ্ধ হলে মারা যাবে দুই কোটি মানুষ

পাক-ভারত পরমাণু যুদ্ধ হলে মারা যাবে দুই কোটি মানুষ

যুদ্ধের আশঙ্কায় ভারতের পাঞ্জাব সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো থেকে লোকদের সরিয়ে নিচ্ছে সরকার। গ্রামবাসীরা বাসে করে এভাবে বাড়িঘর ছাড়ছে  :এএফপিযুদ্ধের আশঙ্কায় ভারতের পাঞ্জাব সীমান্তবর্তী গ্রামগুলো থেকে লোকদের সরিয়ে নিচ্ছে সরকার। গ্রামবাসীরা বাসে করে এভাবে বাড়িঘর ছাড়ছে :এএফপি

পরমাণু অস্ত্রধারী ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে দুই দেশের অর্ধেক পারমাণবিক অস্ত্র (১০০টি) ব্যবহার হতে পারে। এর ফলে অন্তত দুই কোটিরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। এ ছাড়া বিশ্বের পারমাণবিক ওজন স্তরের অর্ধেক ধ্বংস হবে। ফলে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

২০০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা এ সতর্কবাণী দিয়েছিলেন। পাক অধিকৃত কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানের পর নতুন করে সেই সতর্কতার কথা সামনে চলে এসেছে। ওই সময় বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন, দুই দেশের মিলিত পরমাণু অস্ত্রসম্ভারের অর্ধেক অর্থাৎ ১০০টি অস্ত্রের প্রয়োগ হলে, প্রাণ যাবে অন্তত দুই কোটিরও বেশি মানুষের। মিলিয়ে যাবে গোটা বিশ্বের প্রায় অর্ধেক ওজন স্তর। শুধু তা-ই নয়; পারমাণবিক শৈত্যপ্রভাবে বিশ্বজুড়ে তিগ্রস্ত হবে মওসুমি আবহাওয়া, কৃষিতে নেমে আসবে বিপর্যয়।

কয়েক দিন আগে রাজ্যসভায় মতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য সুব্রাহ্মণ্যম স্বামী পাকিস্তানে পরমাণু হামলার আহ্বান জানান। পরে পাকিস্তানের প্রতিরা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি ইসলামাবাদে হামলা হলে ভারতকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়। বিজেপির এই সদস্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর বলেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক হামলায় যদি ১০ কোটি মানুষের প্রাণহানি ঘটে তাহলে পাকিস্তানকে ধুয়ে মুছে ফেলা হবে। তবে পরমাণু যুদ্ধ শুরু হলে যে শুধু ভারত-পাকিস্তানের তি হবে তা নয়। এর প্রভাব পড়বে পুরো বিশ্বে।

২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাটগারস বিশ্ববিদ্যালয়, কলোরাডো- বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা বলেন, পাক-ভারত পরমাণু যুদ্ধ হলে বিস্ফোরণের তীব্রতা ও রেডিয়েশনের প্রতিক্রিয়ায় প্রথম সপ্তাহেই ২ দশমিক ১ কোটি মানুষের প্রাণহানি ঘটবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যে পরিমাণ প্রাণহানি হয়েছিল তার অর্ধেক হবে এই যুদ্ধে। গত ৯ বছরে (২০১৫ সালের আগে) নাশকতার কারণে ভারতে যত মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবারের যুদ্ধে তার পরিমাণ হবে ২ হাজার ২২১ গুণ বেশি।

পরমাণু অস্ত্রে এগিয়ে কোন দেশ?

জি নিউজ পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার সামরিক শক্তির একটি তুলনামূলক পরিসংখ্যান প্রদান করেছে। তাদের দেয়া তথ্য অনুসারে ভারতের যুদ্ধবিমান রয়েছে মোট ৪৮টি। এর মধ্যে বজ্র ৩২টি, সামসের ১৬টি। ভারতের ল্যান্ড বেসড ব্যালিস্টিক মিসাইল ৫৬টি। এর মধ্যে পৃথ্বি-২ রয়েছে ২৪টি, ২০টি অগ্নি-১, অগ্নি-২ এর সংখ্যা আটটি আর অগ্নি-৩ রয়েছে চারটি। ভারতের সি বেসড ব্যালিস্টিক মিসাইল ১৪টি রয়েছে। যার মধ্যে ধনুশ ২টি ও কে-১৫ ১২টি। পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান রয়েছে মোট ৩৬টি। এফ-১৬ ২৪টি, মিরেজ থ্রি/ফোর ১২টি। পাকিস্তানের ল্যান্ড বেসড ব্যালিস্টিক মিসাইল রয়েছে ৮৬টি। গজনভি ১৬টি, ১৬টি শাহীন-১, ৮টি শাহীন-২, ঘউরি ৪০টি, এনএএসআর আছে ৬টি। পাকিস্তানের ক্রুজ মিসাইল বাবুর রয়েছে আটটি।

 

 

 

Related posts