শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, মূলত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিবারই আমরা উদ্যোগ নেই। এবার জায়গাটা ছোট ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রার্থীরাও সহযোগিতা করেছেন।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বিকেল পৌনে ৫টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মাদ আবদুল মোবারক, মো. আবু হাফিজ, ব্রি. জে. (অব.) মো. জাবেদ আলী, ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচনে প্রতিটি ভোটার যাতে নির্ভয়ে নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে এসে তার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেজন্য ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল।
‘কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ছাড়াই নারায়ণগঞ্জে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আচরণবিধি ভঙ্গ এবং নির্বাচনী অনিয়মের কারণে আজও তিনজনকে মোট ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ’
সিইসি বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। মাঠপর্যায়ে নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে যথাযথভাবে পালন করা হয় সেজন্য প্রতি ওয়ার্ডে আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধ করতে এ সংক্রান্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, সাড়ে ৯ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করা হযেছে।
কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, এখানে ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে এ নির্বাচনে ৭ দলের মেয়র পদে ৭ জন লড়ছেন। ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন এবং ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এখানে ১৭৪টি কেন্দ্র রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের রায় যদি সবাই মেনে নেয় তাহলেই নির্বাচনে কোনো বিশৃঙ্খলা হওয়ার সুযোগ থাকে না। এই নির্বাচনের মতো পরবর্তী নির্বাচনেও যাতে সবাই জনগণের রায় মেনে নেন- এই আশা করছি।’