শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৩ জানুয়ারি ২০১৭
প্রধানমন্ত্রীআজ রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৭ এর উদ্বোধন শেষে ‘পুলিশ ওয়েলফেয়ার প্যারেড’-এ প্রথমবারের মতো ভাষণকালে বলেন, ‘আমরা নগরীতে আরেকটি পুলিশ লাইন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছি।’ তিনি আরো বলেন, এই ব্যারাক প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত জমি খোঁজা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশের আবাস হিসেবে বর্তমান রাজারবাগ পুলিশ লাইন অপ্রতূল হয়ে পড়ায় সরকার নগরীতে দ্বিতীয় পুলিশ ব্যারাক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে অধিকতর ভালো সেবা দেয়ার জন্য ঢাকা মহানগরীকে দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে এবং ‘এ জন্য আমরা নগরীতে আরেকটি পুলিশ লাইন প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছি।’
বাংলাদেশ পুলিশ তৃণমূলের পুলিশ জওয়ানদের দেশের প্রধান নির্বাহীর সামনে দর্শক হিসাবে উপস্থিত থাকা এবং তার সঙ্গে কথা বলতে সক্ষম করে তোলার জন্য অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনীর দরবার-এর ন্যায় বার্ষিক পুলিশ সপ্তাহের সঙ্গে এই প্রথমবারের মতো ‘পুলিশ ওয়েলফেয়ার প্যারেড’-এর আয়োজন করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং মহাপুলিশ পরিদর্শক এম শহীদুল হকও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদ। এতে পুলিশের কনস্টেবল থেকে শীর্ষ পদমর্যাদার কর্মকর্তারা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমাম, সিনিয়র এএসপি তাপস রঞ্জন ঘোষ, ইন্সপেক্টর মনিরুল ইসলাম, এসআই সুজন কুন্ড, সার্জেন্ট খন্দকার মশিউর রহমান ও কনস্টেবল খায়রুন্নাহার পেশার কিছু প্রয়োজনীয় বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানত: উন্নয়নের গতি স্বাভাবিক আইন-শৃঙ্খলার ওপর নির্ভরশীল আর এর দায়িত্ব পুলিশের এবং ‘পুলিশ ভালভাবে দায়িত্ব পালন করলে আমরা উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে পারি।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের আর্থ-সামাজিক খাতে দেশের অগ্রগতির উল্লেখ করে বলেন, ‘আমরা আরো ভাল করতে পারি এজন্য আমাদের প্রয়োজন আপনাদের সহযোগিতা ও আন্তরিক সেবা।’
তিনি দায়িত্ব পালনকালে পরিচ্ছন্ন পোশাক পরিধানের জন্য পুলিশ সদস্যদের বছরে ৪ সেট ইউনিফর্ম দেয়ার আশ্বাস দেন।
শেখ হাসিনা পুলিশ বাহিনীর চিকিৎসার জন্য সকল সরকারি হাসপাতালে পৃথক ব্যবস্থায় পদক্ষেপ গ্রহণেরও আশ্বাস দেন ।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে ও বিদেশে পুলিশ বাহিনীর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মহাপুলিশ পরিদর্শক শহীদুল হক বিগত বছরগুলোতে পুলিশ বাহিনীর প্রতি সরকারের সহযোগিতার প্রশংসা করে বলেন, সন্ত্রাস নির্মূলে অবিরাম সংগ্রামরত একটি অনুগত ও সুশৃঙ্খল বাহিনীর প্রধান হতে পেরে তিনি খুবই খুশী।
তিনি সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় আনুসাঙ্গিক সহযোগিতা ও সরঞ্জাম দিয়ে পুলিশকে আরো বেশি সক্ষম করে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সিআইডি’র ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরি, সাইবার ক্রাইম তদন্ত কেন্দ্র, সাইবার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য ও ১৯৭১ সালে শহীদ পুলিশ সদস্যদের স্মরণে গড়া ‘রাজারবাগ-৭১’ পরিদর্শন করেন।
তিনি ওই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের বিভিন্ন বিভাগ ও পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।