শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৬ আগস্ট ২০১৬
নতুন যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো তাতে দলের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির দুইজন সদস্য নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিএনপি।
কাউন্সিলে কমিটি গঠনের একক দায়িত্ব চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকেই দেয়া হয়েছে। জানা যায়, এই দুই পদের বিপরীতে ৪ জনের নাম প্রস্তাব আকারে এসেছে।
সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামে ১৯ সদস্যের মধ্যে যে ১৭ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে তাতে বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া আর কোনো নারী সদস্য নেই।
বিএনপি সূত্র জানায়, সদ্য বিলুপ্ত স্থায়ী কমিটির নারী সদস্য সারোয়ারি রহমানকে বার্ধক্যজনিত কারণে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির নারী সদস্য হিসেবে শিরিন সুলতানা এবং একজন শিক্ষাবিদের নাম আলোচনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত চেয়ারপারসন তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেননি।
খালেদা জিয়ার একটি ঘনিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ভবিষ্যৎ রাজনীতির কথা চিন্তা করে তারেক রহমানের স্ত্রী জোবাইদা রহমানকেই স্থায়ী কমিটিতে নেয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চেয়ারপারসন। কৌশলগত কারণে এখনই নামটি ঘোষণা করা হয়নি।
তবে আরেকটি পদে আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং সাদেক হোসেন খোকাকে নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন খালেদা জিয়া।
এদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান। তবে তিনি এও বলেছেন, ম্যাডাম যেটা ভালো মনে করছেন সেটা করছেন। ব্যক্তিগত কোনো প্রতিক্রিয়া আমার নেই।
স্থায়ী কমিটিতে জোবাইদা রহমান যুক্ত হচ্ছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না।’
উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন ব্যারিস্টার শাজাহান ওমর বীর উত্তম। নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে তিনিও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
শনিবার বিএনপির স্থায়ী কমিটিসহ কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্থায়ী কমিটির ১৯ সদস্যের মধ্যে ১৭ জন হলেন- বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. মঈন খান, মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, জমীরউদ্দীন সরকার, তরিকুল ইসলাম, হান্নান শাহ, এম কে আনোয়ার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস।
পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব।
এছাড়া কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন নতুন দুই মুখ। তারা হলেন সালাউদ্দীন আহমেদ এবং আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত (কার্যকর) সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও প্রয়াত ড. আর এ গণির জায়গায় এই দুই জনকে নেওয়া হয়েছে।