শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৪ এপ্রিল ২০১৭
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি আগামী ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযথভাবে পালনের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি সোমবার এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগসহ ভ্রাতৃপ্রতিম ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি ইউনিটকে দিবসটির মর্যাদা অনুযায়ী সভা, সমাবেশ, র্যালি, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ইত্যাদি কর্মসূচি যথাযথভাবে পালনের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
তিনি বলেন, মুজিবনগর দিবস বাঙালি জাতির জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পর মহান মুক্তিযুদ্ধের সঠিক দিকনির্দেশনা, বাঙালি জাতির সাংবিধানিক ও যৌক্তিক অধিকার দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠা করে স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তৎকালীন সময়ে মুজিবনগর সরকার গঠন ছিলো অপরিহার্য।
তিনি বলেন, পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী দ্বারা বাংলাদেশের বেসামরিক ও নিরস্ত্র জনগণের ওপর পরিচালিত নজিরবিহীন বর্বর ও নৃশংস গণহত্যা প্রতিরোধ করে বাংলাদেশের জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার অর্জনের আইনানুগ অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে স্বাধীন বাংলাদেশের অখ-তা ও মর্যাদা রক্ষার জন্য নবগঠিত এ সরকার অসীম বীরত্ব ও সাহসিকতার সাথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে।
কাদের বলেন, এই সরকার গঠনের সাথে সাথে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালির প্রতিরোধ সংগ্রাম প্রচন্ড যুদ্ধে রূপ নেয় এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের বিজয় ত্বরান্বিত হয়।
সেতুমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন করা হয়। এই সরকার মুক্তিকামী সকল স্তরের বাঙালি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ রেখে দীর্ঘ নয় মাস দক্ষতার সাথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেন এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ সারাবিশ্বের কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের আজকের এই মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের প্রথম সরকারের স্বপ্নের স্বার্থক রূপায়ন।
তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান।
একই সাথে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।