ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন ‘সোনার বাংলা’

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম।  ২১  জুন ২০১৬

ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে নতুন ট্রেন ‘সোনার বাংলা’

ট্রেন ‘সোনার বাংলা’

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে আগামী সপ্তাহ থেকে চলাচল শুরু করবে নতুন একটি আন্তঃনগর ট্রেন।

‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ নাম পাওয়া ১৬ বগির এই ট্রেন শুধু ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে থামবে। পাঁচ ঘণ্টা ৪০ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা পৌঁছাবে বলে রেল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সোনার বাংলা এক্সপ্রেস হবে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে চলাচলকারী দ্বিতীয় বিরতিহীন ট্রেন।

এর আগে প্রথম বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস চলাচল শুরু করে ১৯৯৮ সালের ১৪ এপ্রিল।

পূর্ব রেলের জিএম মো. আবদুল হাই বলেন, “শনিবার (২৫ জুন) ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।”

তবে ট্রেনটি বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে রোববার থেকে।

জিএম আবদুল হাই জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে আনা নতুন ১৬টি বগি দিয়েই আন্তঃনগর ট্রেনটি যাত্রী পরিবহন করবে। শনিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয়দিন ট্রেনটি চলাচল করবে।

“এটিতে স্নিগ্ধা (শীতাতপ চেয়ার), শোভন চেয়ার, এসি বাথ মিলিয়ে ৭৪৬টি আসন থাকবে।”

তিনি জানান, প্রতিদিন সকাল ৭টায় সোনারবাংলা এক্সপ্রেস কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে।

একই ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে ছাড়বে বিকাল ৫টায়, ঢাকা পৌঁছাবে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে।

পূর্ব রেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার থেকে নতুন এই ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হতে যাচ্ছে। এই ট্রেনে ভাড়া রাখা হয়েছে সুবর্ণ এক্সপ্রেসের মতোই।

প্রথম বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে ঢাকা পৌঁছায় বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে।

আর ঢাকা থেকে বিকাল ৩টায় ছেড়ে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে পৌঁছানোর সময় নির্ধারিত রয়েছে।

সুবর্ণ এক্সপ্রেস শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয়দিন ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে বিমানবন্দর ছাড়া অন্য কোনও স্টেশনে থামে না।

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ছাড়াও তুর্ণা নিশিথা, মহানগর গোধুলী, মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে।

‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’ চালু হলে  পথে আন্তঃনগর ট্রেনের সংখ্যা দাঁড়াবে পাঁচটিতে। এর বাইরে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে দুটি মেইল ট্রেনও চলাচল করে।

পূর্ব রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসর ১৬টি বগির মধ্যে চারটি এসি চেয়ায়ের (স্নিগ্ধা) প্রতিটিতে ৫৫ করে ২২০ আসন, সাতটি শোভন চেয়ারের বগিতে ৪২০ আসন, দুটি এসি বাথে ৩৩ করে ৬৬ আসন এবং দুটি খাবার গাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত ৪০টি আসন রয়েছে।

এর বাইরে একটি পাওয়ার কার থাকছে ট্রেনটিতে।

পূর্ব রেলের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসে খাবার সরবরাহের দায়িত্বে থাকবে পর্যটন করপোরেশন।

ট্রেনের ভাড়ার সাথে খাবারের দাম সংযুক্ত করার পরিকল্পনা পূর্ব রেলের রয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।

 

Related posts