ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন হওয়ায় ভ্রমণ সময় অর্ধেকে নেমে এসেছে

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২০ জানুয়ারি ২০১৭

ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন হওয়ায় ভ্রমণ সময় অর্ধেকে নেমে এসেছে

ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেন হওয়ায় ভ্রমণ সময় অর্ধেকে নেমে এসেছে

জানা যায়, চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রামের ভ্রমণ সময় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এখন মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত সম্ভব। আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনও সহজতর ও সাশ্রয়ী হয়েছে।

প্রায় তিন হাজার ৮শ’ কোটি টাকায় ১৫টি প্যাকেজে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়। এর মধ্যে সড়ক নির্মাণে ১০টি ও সেতু নির্মাণে তিনটি প্যাকেজ তথা পূর্তকাজে ১৩টি প্যাকেজ, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বিষয়ে একটি ও আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগে ছিল একটি প্যাকেজ।

প্রকল্পের আওতায় ২৩টি সেতু, ২৪২টি কালভার্ট, তিনটি রেলওয়ে ওভারপাস, ১৪টি সড়ক বাইপাস, দুইটি আন্ডারপাস, ৩৪টি স্টিল ফুটওভার ব্রিজ এবং ৬১টি বাস-বে নির্মাণ করা হয়।

মহাসড়কে ভ্রমণ আনন্দদায়ক, পরিবেশবান্ধব ও দৃষ্টিনন্দন করতে ঋতুর সঙ্গে মিল রেখে সড়কের পাঁচ মিটার প্রশস্ত ডিভাইডারে নানা প্রজাতির গাছ এবং ঋতুভিত্তিক ফুলগাছ রোপণ করা হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন নিজেদের শ্রম, মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অত্যন্ত নিরলসভাবে কাজ করে সড়ক নির্মাণে ১০টির মধ্যে সাতটি প্যাকেজ সম্পন্ন করে প্রকল্পটিকে আলোর মুখ দেখিয়েছে।

এ মহাসড়কের দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রামের সিটি গেট পর্যন্ত ১৯৩ কিলোমিটার চারলেন প্রকল্পের ১৩৯ কিলোমিটার কাজ করেছে সিনোহাইড্রো করপোরেশন। অবশিষ্ট তিনটি প্যাকেজের ৫৪ কিলোমিটার কাজ করেছে রেজা কনস্ট্রাকশন ও তাহের ব্রাদার্স। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চারলেন প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যানবাহন চলাচলে গতি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গন্তব্যে পৌঁছতে সময় কম লাগছে। পাশাপাশি এই মহাসড়কে অতীতের যানজট হ্রাস পেয়েছে।- বাসস

 

 

Related posts