শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৪ জানুয়ারি ২০১৭
শেষ পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডট বাংলা ডোমেইন উদ্বোধন করলেন। গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ তিনি সেটি উদ্বোধন করেন। অভিনন্দন সরকারকে। গণভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডট বাংলার উদ্বোধন করেন।
আমরা সবাই জানি যে আমাদের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। এটি শহীদের রক্ত দিয়ে কেনা। আমরা যারা ৪৮ থেকে ৫৬ পর্যন্ত লড়াই করে পাকিস্তানে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠত করেছিলাম তারাই একাত্তরে বাংলা ভাষার একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ফেলি। ভাষার লড়াই-এর চাইতে রাষ্ট্র গঠনের লড়াইটা আরও রক্তাক্ত ছিলো। দেশটি স্বাধীন হবার পর এই রাষ্ট্রে বাংলা ভাষার অবস্থা কি সেটি মূল্যায়ন করা যেতে পারে, বিশেষ করে আধুনিক প্রযুক্তিতে তার অবস্থান নিয়ে আলোচনা হতে পারে। ডিজিটাল প্রযুক্তির নামে বাংলাকে বিদায় করার মহোৎসবের কথা আজকে আমরা আলোচনা না করলেও পারি। বরং ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার অবস্থান বিষয়ক শেষ খবরটি নিয়ে কথা বলতে পারি। কারণ খুব সাম্প্রতিক কালে ডট বাংলা নামক একটি ডোমেইন নেম আইকান কর্তৃক অনুমোদিত হবার ফলে ইন্টারনেটে বাংলা ভাষার অবস্থান বদলেছে। আশাব্যঞ্জক দিক হচ্ছে যে এর ফলে বাংলা ভাষা বিশ্বের সেরা ভাষাগুলোর কাতারে শেষ অবস্থানটিও নিশ্চিত করলো। বিজয় হলো বাংলা বর্ণমালার।
অনেকেই এটিও ভাবেন যে, বাংলাদেশের পরিচিতি হিসেবে ডট বিডি নামক একটি টপ ডোমেইন থাকার পরও আবার ডট বাংলা ব্যবহারের কোন প্রয়োজনীয়তা আছে কি? প্রশ্নটির জবাব হচ্ছে যে, ডট বিডি বাংলাদেশের পরিচায়ক হলেও সেটি রোমান হরফে ব্যবহার করতে হয়- বাংলা হরফে ডোমেইন নাম লেখার ব্যবস্থা তাতে থাকে না। বাংলা হরফে রাষ্ট্রের পরিচিতিও তাতে তুলে ধরা যায় না। রোমান হরফে ডট বিডি লেখা দেখে হয়তো বাংলাদেশ বুঝতে হয়, কিন্তু বাংলাদেশের ভাষা যে বাংলা সেটি বোঝা যায় না।
সেই প্রেক্ষিতেই খুব সহজভাবে সাধারণ মানুষের বোঝার মতো করে বললে এটি বলতে হবে যে, ডট বাংলা অনুমোদনের ফলে আমরা আমাদের পরিচিতি হিসেবে ইন্টারনেটে বাংলা হরফ ব্যবহার করতে পারবো এবং বাংলাদেশের পরিচিতি হিসেবে বাংলা শব্দটি বাংলা হরফে ব্যবহার করতে পারবো। আমি মনে করি, আমরা বাংলা ভাষা নিয়ে যে লড়াই করে আসছি ডট বাংলার অনুমোদন তার আরও একটি মাইলফলক অর্জন। হাতে লেখা বা শীশার হরফের বাংলার যুগ থেকে প্রকাশনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার একটি বিশাল অর্জন ছিলো। ইন্টারনেটে বাংলা লিখতে পারাটাও আমাদের বড় ধরনের সক্ষমতা ছিলো। এবার যখন আমি আমার নিজের হরফে নিজের পরিচয় ও রাষ্ট্রের পরিচয় দিতে পারছি সেটি আরও বিশাল অর্জন। ধন্যবাদ ও অভিনন্দন তাদেরকে যাদের জন্য আমরা এমন একটি মাইলফলক অর্জন পেলাম।
আমি যদি ডট বাংলার পেছনের ইতিহাসের দিকে তাকাই তবে একদিকে ধন্যবাদ দিতে হবে কাউকে কাউকে, অন্যদিকে নিন্দা জানাতে হবে কাউকে কাউকে। ২০০৯ সালে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্ত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দলকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই মিশরের দ্বীপ শহর শারম আল শেখে ১৫-১৮ নভেম্বর আয়োজিত ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরামের সভায় উপস্থিত থেকে আইকান-এর প্রধান নির্বাহির সাথে আলোচনা করে ডট বাংলার প্রস্তাব করার জন্য। সেই সময়েই আইকানের প্রধান নির্বাহি ডট বাংলা অনুমোদন দিতে সম্মত হন। আমার স্নেহভাজন এম এ হক অনুর ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, “যথারীতি ইনু ভাই দেশে ফিরে তৎকালীন সংসদীয় সভায় এর প্রয়োজনীয়তা তুললেন এবং পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিষয়টি জানালেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি সম্পর্কে ত্বড়িৎ সিদ্ধান্ত দিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে। কাজ শুরু হয়ে গেলো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে টপলেভেল ডোমেইন ডট বাংলার জন্য আইকানে অনলাইনের মাধ্যমে ফর্ম সাবমিট করেন।”
নিন্দা করার প্রয়োজন হচ্ছে এজন্য যে, এই অনুমোদন পাবার জন্য আমাদেরকে প্রস্তাবনার পর সাত বছর ও আবেদনের পর সাড়ে ছয় বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে অনুমোদনের পর কেবল আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তিন বছর হারিয়ে ফেলেছি। টেলিকম বিভাগের অমার্জনীয় অবহেলার জন্য যে সময়টি আমাদের জাতীয় জীবন ও রাষ্ট্রভাষার ইতিহাস থেকে বিনষ্ট হলো তার জন্য কৈফিয়ৎ দেবে কে?। রাষ্ট্রভাষার সাথে এই অবহেলা করা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা।
যাহোক প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে ইন্টারনেটে একটি রাষ্ট্রের জাতীয় পরিচয়ের স্বীকৃতি হিসেবে কাজ করে এই ডোমেইন। যেমন ডট ইউএস ডোমেইন নামের কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকলে বোঝা যায় সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ওয়েবসাইট। ডট বাংলা তেমনি ইউনিকোড দিয়ে স্বীকৃত বাংলাদেশি ডোমেইন। এই ডোমেইনটির ব্যাখ্যায় উইকিপিডিয়া বলছে, ডট বাংলা হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য একটি দ্বিতীয় ইন্টারনেট কান্ট্রি কোড টপ-লেভেল ডোমেইন (সিসিটিএলডি)। এই ডোমেইন বাংলা ভাষায় ওয়েব ঠিকানার জন্য বোঝানো হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এ দুটি ডোমেইনের মালিক। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ডট বিডি ডোমেইন ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করে।
ডট বাংলা ও ডট বিডি ডোমেইন নিয়ে দৈনিক সান পত্রিকার ১৯ জানুয়ারি ১৬ সংখ্যার খবরটি প্রণিধানযোগ্য। সরকারের পক্ষ থেকে ডট বাংলা ডোমেইন ২০১০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকেই ব্যবহারের জন্য আবেদন করা হয়েছিলো। ২০১১ সালের ৩০ মার্চ সরকার ডট বাংলা ডোমেইনের অনুমোদন পায়। কিন্তু তার পর আর পথ আগায়নি।
খুব সঙ্গতকারণেই এটি প্রত্যাশা করা হয়েছিলো যে, সরকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবে এবং ডট বাংলা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু সরকার ডট বাংলার হেফাজত করার জন্য কাউকে দায়িত্ব প্রদান না করার ফলে তিন বছরে ডট বাংলার কোন অগ্রগতি হয়নি। আমরা আরও স্মরণ করতে পারি যে, দৈনিক সমকালের প্রকাশিত খবর অনুসারে টেলিকম প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ২১ শে ফেব্রুয়ারি ২০১৬ এর মাঝে ডট বাংলা চালু করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। (দৈনিক সমকাল ১৭ নভেম্বর ১৬)। এরপর কিন্তু একুশে ফেব্রুয়ারি চলে যাবার পর অক্টোবর ১৬ পর্যন্ত সেই প্রচেষ্টা আগায়নি। এরপর মিডিয়ায় বিষয়টি ব্যাপক আলোড়ন তুললে মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় কাজটি বিটিসিএলকে করান ১৬ ডিসেম্বর ১৬ এটি চালুর ঘোষণা দেন। অবশেষে সেটি ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত গড়ায়। ফেব্রুয়ারি মাসে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে বিষয়টি কেবল একটি বোর্ড মিটিং-এর অপেক্ষায় রয়েছে। বিষয়টি নাকি কেবল আনুষ্ঠানিকতার। কিন্তু এবারও দেখলাম যে আইকানের সভায় বসে বিটিসিএলকে দিয়ে কিছু কাজ করিয়ে নেবার পর আমরা ডট বাংলার অনুমোদন পাই।
আমরা বাংলা ভাষার নামে দেশটা তৈরি করেছি। বাংলা ভাষার সাথে সাহিত্য ও সংস্কৃতি মিলে এই জাতির নিজস্ব স্বত্ত্বা তৈরি হয়েছে। সেই স্বত্ত্বাকে স্বাধীনতা পূর্বকালে যেমনি আঘাত করা হয়েছে তেমনি এটি এখনও অব্যাহত রয়েছে। আমি বহুবার বলেছি যে স্বাধীন হবার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য যেসব দুঃসাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন তাকে মরহুম জিয়াউর রহমান ধূলায় মিশিয়ে দেন। এরশাদ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য আইন করলেও বাংলা ভাষা এখনও সর্বস্তরের ভাষা নয়। এদেশে বেসরকারি বড় ব্যবসা, ব্যাংকসহ বাণিজ্যে বাংলা ভাষা ব্যবহার করা হয় না। উচ্চশিক্ষায় বাংলাভাষা নিষিদ্ধ। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে শিশুরাও মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেনা। উচ্চ আদালতে বাংলা ভাষা নেই। এমনকি ডিজিটাল রূপান্তরের নামে বাংলা ভাষার পাশাপাশি বাংলা হরফকেও বিদায় করা হয়েছে। সরকারের কেউ কেউ রোমান হরফে বাংলা লেখাকে উৎসাহিত করেন।
আমরা সারা দুনিয়ার মতো নিজেদের ভাষা নিয়ে ইন্টারনেটেও চ্যালেঞ্জে রয়েছি। ইউনিকোডে বাংলার সমর্থন থাকায় আমরা এখন সকল অপারেটিং সিস্টেম ও ডিজিটাল ডিভাইসে বাংলা লিখতে পারি। তবে ইন্টারনেট বাংলার চর্চা কতোটা হয় সেটি ফেসবুক-টুইটার-গুগল প্লাস দেখলে বোঝা যায়। ওখানে কেবল যে রোমান হরফ ব্যবহৃত হয় তাই নয়, বাংলা ভাষাকে বিকৃত করা হয় এবং সরকার এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। আমাদের পণ্ডিতেরাও এইসব বিষয়ে কোন ধরনের আপত্তি করেনা। বাংলা টিভি মিডিয়ার নামই কেবল রোমান নয়, এর অনুষ্ঠানমালার নাম খিচুড়ি মার্কা। এসব প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি মিশ্রিত উপস্থাপনা সমাদৃত হয়। সরকারি দলিলপত্র, প্রকল্প ও ওয়েবসাইটগুলোতে বাংলা অবহেলিত ভাষা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সরকারি ফরম ইত্যাদিতে এখন ডিজিটাল রূপান্তরের নামে ইংরেজি ব্যবহৃত হয়।
আমরা হতভাগা এজন্য যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেটি এসএমএস হোক বা কম্পিউটারে হোক কিংবা স্মার্ট ফোনেই হোক রোমান হরফে বাংলা লেখাকে গ্রহণ করে ফেলেছি। যে জাতি পাকিস্তান আমলে আরবী হরফে বাংলা লিখতে রাজি হয়নি বা রোমান হরফকে বাংলা ভাষার বাহন হতে দেয়নি সেই দেশটি স্বাধীন হবার পর ইন্টারনেটের নামটাকে বাংলা করার সুযোগ পেয়েও সেটি ব্যবহার করতে পারছিলাম না, এই কষ্ট রাখার কি কোন ঠাঁই আছে? আমি মনে করি যাদের অবহেলায় চার বছরে ডট বাংলা ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি তাদেরকে চিহ্নিত করা উচিত এবং তাদের জন্য বাঙালি জাতি, তার ভাষা ও হরফের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য শাস্তি দেয়া উচিত। সংবিধানের তিন নং ধারার আলোকে বাংলা ব্যবহার না করা অসাংবিধানিক। আমি মনে জাতিকে বাংলাকে ব্যবহার করার সুযোগ করে দেয়াতে অবহেলা করা রাষ্ট্রদ্রোহিতা-কারণ রাষ্ট্রটাই বাংলার ওপর দাঁড়ানো।
নিবন্ধটি শেষ করার আগে আমি আমার একটি আশঙ্কা দূর করার জন্য অনুরোধ করছি। সেই আশঙ্কাটি ডট বিডি ও ডট বাংলার ব্যবস্থাপক বিটিসিএল সম্পর্কে। অন্যদিকে ডট বিডির অবস্থাও যে ভালো না সেটি দৈনিক সান পত্রিকার খবরে প্রকাশিত হয়।
আমরা লক্ষ্য করেছি ডট বিডি ডোমেইন নিবন্ধন করতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয় এবং সেটি চালু করতে সপ্তাহের পর সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়। ডট বিডি সার্ভার সেদিনও বহু ঘণ্টা বন্ধ থাকলো। মাত্র কদিন আগে ডট বিডি হ্যাক হলো। বলা হয়েছে যে পাকিস্তানি হ্যাকাররা এই সাইটটি হ্যাক করে। এখনও স্পষ্টত ডট বিডির নিবন্ধনের কোন সুনির্দিষ্ট ঠিকানা খুঁজে পাওয়া যায় না। আমরা জেনেছি যে ডট বিডি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেও এখনও সাধারণ মানুষ ব্যবহার করতে পারছেন না। বলা হচ্ছে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৭ থেকে সাধারণ মানুষ ডট বাংলা ব্যবহার করতে পারবে। এটি বলার অপেক্ষা রাখেনা যে এই বিলম্বের একমাত্র কারণ বিটিসিএল এর দক্ষতা ও ব্যবস্থাপনার ত্রুটি। আমি ধারণা করতে পারিনা যে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের ভিত্তি বাংলা ভাষা নিয়ে বিটিসিএল এর এই অমার্জনীয় অদক্ষতার কেন কোন বিচার হবে না। টেলিকম বিভাগে বাংলা ভাষা ও হরফের প্রতি ভালবাসা আছে এমন কেউ কি নেই? টেলিকম প্রতিমন্ত্রী নিজে অত্যন্ত সাহসের সাথে সিমের বায়োমেট্রিক্সের নিবন্ধন করেছেন। ডট বাংলা চালুর বিষয়েও তিনি উদ্যোগী ছিলেন। হতে পারে এমন যে তিনি উদ্যোগী ছিলেন বলেই শেষ অবধি ডট বাংলার উদ্বোধন হলো। কিন্তু তিনি কি বিটিসিএল এর এই অদক্ষতার তদন্ত করতে পারবেন না। তিনি খুঁজে বের করতে পরবেন না যে কারা এর জন্য দায়ী? আমি মনে করি দায়িদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।
লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, কলামিস্ট, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান- সাংবাদিক, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যার-এর জনক।
mustafajabbar@gmail.com, www.bijoyekushe.net, www.bijoydigital.com