শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ৩০ আগস্ট ২০১৬
নির্ঝঞ্ঝাটে চা তৈরির জন্য অনেকেই টি ব্যাগ ব্যবহার করে থাকেন। চা তৈরি করর পর টি ব্যাগটির আর গুরুত্ব থাকে না। তখন সেটি আমরা ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেই। তবে এই ফেলনা জিনিসটিই আমাদের বেশকিছু উপকারে আসতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই খরচ বাঁচিয়ে দিতে পারে ছোট্ট একটি টি ব্যাগ। কিভাবে? চলুন জেনে নেয়া যাক-
অনেকেই ডার্ক সার্কেল দূর করতে টি ব্যাগ ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এটা চোখের নিচের ফোলাভাব বা ব্যাগ দুর করতেও কাজে আসে। লম্বা একটা দিনের শেষে ক্লান্ত চোখগুলোকে একটু শান্তি দিতে ব্যবহৃত টি ব্যাগ রাখতে পারেন চোখের উপরে। ১৫ মিনিটেই অনেকটা আরাম দেবে।
পিঁয়াজ, রসুন অথবা অন্য কোনো গন্ধযুক্ত খাবারের গন্ধ হাত থেকে দূর করতে সাবান অনেক সময়ে যথেষ্ট নয়। এর জন্য ব্যবহৃত টি ব্যাগ হাতে ঘষে নিতে পারেন, গন্ধ কমে যাবে।
বাগান করার অভ্যাস না থাকলেও অনেকের বাড়িতেই কয়েকটা টবে গাছপালা থাকে। টবের মাটিতে পুরনো টি ব্যাগের ভেতরের চাপাতা মিশিয়ে দিন। গাছগুলো প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। বিশেষ করে এসিড-লাভিং গাছগুলো এতে খুবই উপকৃত হবে।
টি ব্যাগের প্যাকেট খোলার সাথে সাথেই চায়ের দারুণ একটা সুবাস আপনার নাকে এসে লাগে, তাই না? এই সুগন্ধটির সদ্ব্যবহার করুন। ২-৩টি অব্যবহৃত অর্থাৎ শুকনো টি ব্যাগ রাখুন প্রতিটি জুতোয়। এক দিনের মাঝে আপনার জুতো থেকে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে। জুতোটা ধোয়াধুয়ির ঝামেলায় যেতে হবে না।
চায়ে থাকা ট্যানিন মাংসকে নরম করতে পারে। এর পাশাপাশি মাংসে খুব সূক্ষ্ম একটি সুগন্ধও ছড়িয়ে দিতে পারে। রঙচায়ের কড়া লিকারে মাংস ম্যারিনেট করে রাখুন সারারাত বা অন্ততপক্ষে কয়েক ঘণ্টা।
যাদের বাথটাব আছে তাদের জন্য এটা উপকারে আসতে পারে। ক্লান্তি দূর করতে বাথটাবে গরম পানিতে পাঁচটি টি ব্যাগ ছেড়ে দিন। এতে দারুণ একটা সুগন্ধ আপনার ক্লান্তি দূর করবে। আর ত্বকের জন্যও এটা খুব ভালো, বিশেষ করে যদি রোদে পোড়া ত্বক হয়ে থাকে।