শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২২ মার্চ ২০১৭
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)সুপারিশ জানিয়েছে পানি সম্পদ রক্ষায় ‘বাংলাদেশ পানি আইন ২০১৩’-এর দ্রুত বাস্তবয়নে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণের ।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষ্যে ‘টেকসই উন্নয়নে বর্জ্য পানির ব্যবস্থাপনায় চাই স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নাগরিক অংশগ্রহণ’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে এ সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাইদুল ইসলাম, টিআইবির সদস্য শফিকুল ইসলাম ও ইয়েস গ্রুপের সদস্যরা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পানি জীবনের একটি মৌলিক উপাদন। জীবন এবং জীবিকার জন্য পানির সঠিক ব্যবহার ও টেকসই ব্যবস্থাপনার উপর গুরুত্বরোপ করে ১৯৯৩ সাল থেকে জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রতিবছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘ কর্তৃক প্রণীত ২০১৬-২০৩০ মেয়াদী টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৬ এর একটি অন্যতম লক্ষ্য (৬.৩) হচ্ছে ‘দূষণ, ময়লা-আবর্জনা এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ কমানোর মাধ্যমে পানির গুণগত মানোন্নয়ন, অপরিশোধিত বর্জ পানির পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনা এবং বৈশ্বিকভাবে পানির পুনর্ব্যবহার, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও তার নিরাপদ পুনর্ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা।
দেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চিতে বাংলাদেশের পানি ও বর্জ্য পানি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে টিআইবির পক্ষ থেকে বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-
পানি খাত সংশ্লিষ্ট সরকারের বিভিন্ন বিভাগসমূহের কার্যক্রমের ক্ষেত্রে পুনারাবৃত্তি পরিহার করে বিভাগগুলোতকে একীভূতকরণের মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে পানি-সম্পর্কিত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার পথ সুগম করা।
সব ধরনের কলকারখানার জন্য একক বা কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জ্য শোধনাগার (এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট) স্থাপন নিশ্চিতে কঠোর জরিমানার ব্যবস্থা করা।