শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৪ অক্টোবর ২০১৬
ঝিনুকের ইংরেজি নাম ঙুংঃবৎ। এক ধরনের দুই খোলকবিশিষ্ট জলজ প্রাণী। এদের বাসস্থান সমুদ্র অথবা অল্প লবণাক্ত পানিতে হয়ে থাকে। এদের শরীরের খোলক উচ্চস্তরের চুনজাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি।
কিভাবে ঝিনুকে মুক্তা হয়? কোনো জলজ জীব বা কোনো বালুকণা হঠাৎ করে ঝিনুকের মধ্যে ঢুকে গেলে ঝিনুক তখন ওই ছোট্ট জীব বা বালুকণাটির চারপাশে একটি থলের মতো অংশ তৈরি করে। সেই সঙ্গে ঝিনুকটির নিজস্ব কিছু রাসায়নিক পদার্থ সেখানে জমা হতে থাকে। থলেটিও দিনে দিনে বেড়ে ওঠে। এভাবেই জমাট বেঁধে এক সময় তৈরি হয় মুক্তা।
মুক্তা কিন্তু চাষও করা হচ্ছে। ঝিনুক চাষ করে তার মধ্যে ছোট্ট কোনো এক ক্ষুদ্র কণা ঢুকিয়ে দেয়া হয়। আবার সেই ঝিনুককে রাখা হয় পানিতে। পরে সময় মতো ঝিনুক উঠিয়ে এনে মুক্তা বের করে আনা হয়।
নানা রঙের মুক্তা আছে। সাদা, গোলাপি, রূপালী, হলুদ মুক্তা যেমন আছে, তেমনি আছে সবুজ, নীল, এমনকি কালো রঙের মুক্তাও।