জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১১  জানুয়ারি  ২০১৭

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন । একই সঙ্গে দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করে উন্নত সমৃদ্ধ একটি দেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগ এ জনসভার আয়োজন করে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হসিনার সভাপতিত্বে জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, ওবায়দুল কাদের, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, দক্ষিণের সাঈদ খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাত, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, যুবলীগ সভাপতি ওমর খারুক চৌধুরী, শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোল্লা আবু কাউসার, যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি নাজমা আক্তার প্রমুখ।

জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জঙ্গিরা দেশে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। তারা মানুষ খুন করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। ধর্ম নিয়ে নিজেদের মতো ব্যাখ্যা দিচ্ছে। এ ধরনের অপব্যাখ্যায় তারা কিছু মানুষকে প্রলুদ্ধ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, কোনো ধর্মেই সন্ত্রাস এবং খুন-খারাবির স্থান নেই। যেসব জঙ্গি আত্মহত্যা করছে তাদের স্থান বেহেশতে নয় বরং দোজখে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিচার করার মালিক আল্লাহ। আমরা কে ভালো করছি, কে মন্দ করছি তার বিচার তিনিই করবেন। তবে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণ ভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করবেন আর সেখানে জঙ্গিরা বাধা সৃষ্টি করলে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল্লাহর রহমতে প্রতিটি মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে সক্ষম হয়েছি। এখন যাদের ঘর নেই তাদের তালিকা করছি। প্রতিটি গৃহহীন মানুষকে ইনশাআল্লাহ ঘর করে দেব। আগামীতে প্রতিটি বিভাগে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি, যেখান থেকে নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষ সেবা পাচ্ছে। দেশে কোনো মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য তিনটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছি, সেখানে অনেক গবেষণা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষা খাত যেন বিস্তার লাভ করে সে লক্ষ্যে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। আজকের শিশুরা যেন আগামীতে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা লাভ করতে পারে সেজন্য দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছি। আমি যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম তখন অনেকেই মশকরা করেছিল, তারা আজ দেখুক দেশ কোন পর্যায়ে গেছে। গ্রাম-গঞ্জের মানুষ মোবাইলের মাধ্যমে তথ্য সেবা পাচ্ছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই বিতরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রি-প্রাইমারি থেকে শুরু করে মাধ্যমিক পর্যন্ত এ বছর ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫ বই বিতরণ করেছি। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এ ধরনের দৃষ্টান্ত নেই। সাতটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকেও বই দিয়েছি।

 

Related posts