চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে স্যাটেলাইট ফোন

শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম ।  ২৬  ডিসেম্বর  ২০১৬

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে স্যাটেলাইট ফোন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে স্যাটেলাইট ফোন

চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে স্যাটেলাইট ফোন ও হাই ফ্রিকোয়েন্সি সেট । অথচ বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন আইন অনুযায়ী এসব ফোন সেট সরকারের অনুমতি ব্যতিরেকে আমদানি-রফতানি, কেনাবেচা ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

একইসঙ্গে যে কেউ ইচ্ছা করলেই কিনতে পারছেন, র‌্যাব-পুলিশের হ্যান্ড কাফ, ইউনিফরম, ব্যাজ, বুট জুতা, মনোগ্রামসহ আইডি কার্ড ও ক্যাপ। বেচাকেনায় কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় এর যথেচ্ছা ব্যবহারও বেড়েছে।

এর ফলে সরঞ্জাম ব্যবহার করে নানা ধরনের অপরাধের ঘটনা অহরহ ঘটছে। এছাড়া এসব হাই ফ্রিকোয়েন্সি সেট ব্যবহার করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর দেশের বাইরের উগ্রবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে দিচ্ছে একটি অপরাধীচক্র।

রোববারও বিপুল পরিমাণ স্যাটেলাইট ফোন ও ওয়্যারলেস সেটসহ চার ব্যক্তিকে আটক করেছে র‌্যাব-৭ এর সদস্যরা।

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. সোহেল মাহমুদ এ বিষয়ে জানান, নগরীর পাহাড়তলী থানার সিডিএ মার্কেট এলাকার আব্দুল বারেক রোডে গোলাম মোস্তফা মার্কেটে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কমিউনিকেশন ও নেভিগেশনাল যন্ত্রপাতি সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করছে।

এ খবরে বিটিআরসি ও জেলা প্রশাসন ম্যাজিস্ট্রেটের সহায়তায় মেজর এসএম সুদীপ্ত শাহীনের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ওই মার্কেটের হজরত শাহজালাল এন্ট্রারপ্রাইজ, সাকিব মেরিন ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস, এস কে মেরিন, জুয়েল নূর ভবন এবং মা মেরিন ইলেকট্রনিকসে অভিযান চালায়।

এসময় ৩৪টি স্যাটেলাইট ফোন, ১৩২টি রেডিও সেট, দুইটি ফার্নো রেডিও এরিয়াল, দুইটি জেআরসি রাডার এন্টেনা, তিনটি ট্রান্সমিশন ইউনিট, চারটি ব্রিজ অ্যালার্ম, পাঁচটি রিসিভার, একটি সেইলর সেট কমিউনিকেশন টার্মিনাল, আটটি এন্টেনা (সেইলর/ফার্নো/জেআরসি/কোডেন), চারটি পাওয়ার সাপ্লাই ইউনিট, দুইটি জেআরসি প্রিন্টার, দুইটি কিবোর্ড, ৯টি হ্যান্ডসেট, ২২টি রাডার ডিসপ্লে, সাতটি ডোপলার লগ, ৭৬টি জিপিএস নেভিগেটর, ১১৭টি নেভটেক্স রিসিভার চারটি পাইরোটেকনিক আইটেমসহ বিপুল পরিমাণ কমিউনিকেশন ও নেভিগেশনাল যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে।

এগুলোর মূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকা। এ সময় হজরত শাহজালাল এন্টারপ্রাইজের মো. শফিকুল ইসলাম (৪৫), এস কে মেরিনের মো. শামছুল আলম (৫০), মো. লিটন (৪৫), জুয়েল নূর ভবনের মো. জুয়েলকে (২৮) গ্রেফতার করা হয়।

মার্কেটগুলো থেকে হাই ফ্রিকোয়েন্সি সেট যথেচ্ছ ক্রয়ের সুযোগ নিচ্ছে এক ধরনের অপরাধী ও প্রতারক চক্র। তারা এগুলো কিনে দিব্যি বনে যাচ্ছে পুলিশ, আনসার বা র্যাব সদস্য।

 

Related posts