শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ১১ জুন ২০১৬
রাজধানীর গুলিস্তানে হকার্স ও ঢাকা ট্রেড সেন্টারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় হকারদের বিরুদ্ধে পুলিশবাদী মামলা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হাসান বাদী হয়ে পেনাল কোড আইনে এ মামলা দায়ের করেন।
এর আগে ওই ঘটনায় আটক ১৯০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। পল্টন থানায় দায়ের করা এক মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। পরে সিএমএম কোর্টের বিচারক খোরশেদ আলম তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মতিঝিল বিভাগ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মো. তারেক বিন হাবিব জানান, বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষের পর মালিক ও হকারদের পক্ষ থেকে আগের মামলা দুটি করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ আরেকটি মামলা দায়ের করে। সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত ঢাকা ট্রেড সেন্টার বন্ধ থাকবে বলেও এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে গুলিস্তানে হকারদের ফুটপাথ থেকে তুলে দিতে তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সেখানে অবস্থান নিলে তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়। ইটের আঘাতে মতিঝিল বিভাগের ডিসি আনোয়ার হোসেন আহত হলে আত্মরক্ষায় ব্যবসায়ীদের উপর চড়াও হয় পুলিশ।
সেখান থেকে ১৯০ জনকে আটক করে পল্টন থানায় এনে পুলিশের উপরে হামলার মামলা দেয়া হয়। এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর থেকে ঢাকা ট্রেড সেন্টার সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। মার্কেটটিতে প্রবেশের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছে।
এরআগে গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টারের সামনের ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ ও ওই সড়ক যান চলাচলের উপযোগী করার পর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন এবং ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া পরিদর্শনে যান।
তারা ফিরে যাওয়ার পরপরই হকার এবং ওই বিপণিবিতানের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে; যান চলাচল বন্ধ থাকে আড়াই ঘণ্টা। ওই ঘটনার পর থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে শুক্রবার সকাল থেকে গুলিস্তান ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান নিতে থাকেন হকাররা।
পল্টন থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, তারা সংঘর্ষের পর ওই এলাকা থেকে প্রায় দুইশ জনকে আটক করেন। যাচাই বাছাই করার পর ১৯০ জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
ঢাকা ট্রেড সেন্টার (দক্ষিণ) দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আসলাম হোসেন জানান, হকাররা দীর্ঘদিন ধরে জোর করে মার্কেটের বারান্দা ও সামনের ফুটপাত দখল করে রেখেছিল। মার্কেট কমিটির লোকজন বৃহস্পতিবার ফুটপাতের দোকানদারদের চলে যেতে বললে তারা না গিয়ে উল্টো কমিটির লোকদের মারধর শুরু করে। এরপরই সংঘর্ষ বাঁধে।