শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম। ৭ জুন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭১ সালে তারা গণহত্যা করেছিল। আমরা ৪৪ বছর পরে হলেও তাদের বিচার করতে পেরেছি। খুনিদের আমরা বিচার করবোই। গুপ্তহত্যাকারীরা মনে করছে তারা পার পেয়ে যাবে, এর বিচার হবেই। পাই-পাই করে এসব খুনিদের বিচার করা হবে।
বুধবার সকালে জাতীয় সংসদে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মহিলা আসনের ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির লিখিত ও সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০১-০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার বাংলাদেশকে দুর্নীতির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, সাংবাদিক নির্যাতন ও জঙ্গিবাদের দেশ হিসেবে পরিচিত করেছিল। এ সময় তারা মানুষ পুড়ানোর মত হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছিল। মার সামনে ছেলেকে, ছেলের সামনে বাবাকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। আন্দোলনের নামে তারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখন তারা গুপ্তহত্যা করছে। গুপ্তহত্যাকারীরা মসজিদের ইমাম, গির্জা, প্যাগোডায় ধর্মযাজকদের হত্যা করছে। এমনকি শিক্ষককেও হত্যা করেছে। সম্প্রতি একজন পুলিশ অফিসারে স্ত্রীকে হত্যা করেছে, যা আগে কখনো দেখিনি। যিনি (এসপি বাবুল আক্তার) এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন, তার স্ত্রীকে কি নির্মমভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হলো। ছোট্ট শিশুর সামনে এ হত্যা করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, পুলিশের কাজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা, অপরাধীদের ধরা। বাংলাদেশে নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। এসব ঘটনায় জড়িতরাই এ ধরনের ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি যেসব গুপ্তহত্যা হচ্ছে তার সবগুলোর ধরন একই রকম। তারা ঠিক একই জায়গায় কোপ দেয়, একইভাবে গুলি করে মারে। একই কায়দায় এসব ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে জড়িত অনেককে আমরা গ্রেফতার করেছি। এখানে যারা ঘটনা ঘটিয়েছে অবশ্যই তারা গ্রেফতার হবে। এতে কোনো সন্দেহ নাই। আমার একটি কথা হলো আজকে তারা পরিবারে উপর হাত দিয়েছে। তারা কেন ভুলে যায়, তাদেরও পরিবার আছে।