শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ২৮ আগস্ট ২০১৬
ফল কাঁচা অবস্থায় পুষ্টিগুণে ভরপুর থাকে। আবার কিছু ফল আছে যা শুকনো অবস্থায়ও গুণে ভরা। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফল পাওয়া যায়। এর ভেতরে কাঠ বাদাম, কাজুবাদাম, কিসমিস, আখরোট, পেস্তা বাদাম- এগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয়। বাইরের দেশে এগুলো স্ন্যাক্স হিসেবে অহরহ ব্যবহৃত হয়, তবে তা আমাদের দেশে এখনও খুব একটা জনপ্রিয়তা পায়নি। সৌন্দর্য থেকে স্বাস্থ্য রক্ষায়ও এর জুড়ি মেলা ভার। শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুটস বিভিন্ন ভিটামিন, এসেন্সিয়াল ফ্যাট এবং অন্যান্য বিভিন্ন পুষ্টির একটি উচ্চ উত্স।
পেস্তাবাদাম
পেস্তাবাদামে রয়েছে মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা কোলেস্টেরল কম রাখতে সাহায্য করে। পেস্তা লো-গ্লিসেমিক ইনডেক্স ধরনের খাবার। অর্থাৎ পেস্তা থেকে কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে ভেঙে গ্লুকোজে পরিণত হয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের ভারসাম্য বজায় থাকে। পেস্তাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-৬। নানা ধরনের বাদামের মধ্যে পেস্তাতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইটোস্টেরল। পেস্তাবাদামে লুটেন নামক এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা বয়সের কারণে সৃষ্ট নানা শারীরিক সমস্যা যেমন মাংসপেশির দুর্বলতা, চোখের ছানির সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। পেস্তাবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সাহায্য করে। এতে ফ্যাটের পরিমাণও কম। ফলে রক্তে লিপিডের পরিমাণ বজায় রাখতে পেস্তা সাহায্য করে। দাঁতের রোগ ও লিভারের সমস্যায় পেস্তাবাদাম বেশ উপকারী।
কাঠবাদাম
কাঠবাদাম ক্যালরির আধার। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠবাদামে রয়েছে ৬৫৫ ক্যালরি। খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কাঠবাদাম ভিটামিন ই-এর অন্যতম উত্স। কাঠবাদামে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধে সহায়তা করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম।
আখরোট
আখরোটে রয়েছে প্রচুর ক্যালরি। প্রতি ১০০ গ্রাম আখরোটে ৬৮৭ ক্যালরি রয়েছে। এতে প্রচুর পরিমাণে উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড ওমেগা-৩ রয়েছে। আখরোট মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে। মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগও দূরে রাখে। আখরোট কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আখরোটে রয়েছে অ্যালার্জিক অ্যাসিড যা এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তোলে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
কিশমিশ
দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে কিশমিশ সাহায্য করে। পানিতে ভেজানো কিশমিশ নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এতে রয়েছে প্রচুর এনার্জি। ক্লান্তি কাটাতে কিশমিশ সহায়তা করে। ওজন বাড়াতে চাইলে নিয়মিত কিশমিশ খান।