শীর্ষরিপো্র্ট ডটকম । ১৮ জানুয়ারি ২০১৭
কষ্টার্জিত গণতন্ত্র যাতে কোনভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে, কষ্টার্জিত স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখতে সকলে প্রচেষ্টা চালাবেন এবং গণতন্ত্র ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অগ্রাযাত্রা অব্যাহত রাখতে দল-মত নির্বিশেষ সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করবেন।
তিনি মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে ভাষণকালে এ আহবান জানান।
তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা কার্যক্রমে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে সরকার অনেক কর্মসূচি নিয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা, আত্মসমালোচনা ও সহযোগিতা এবং একই সঙ্গে নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতা প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপতি স্নাতক অর্জনকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আপনারা এখন দেশের উন্নত জনশক্তি এবং আমি আশা করি আপনারা আপনাদের অর্জিত জ্ঞান ও মেধা মানবতার কল্যাণে নিয়োজিত করবেন।
আপনারা আপনাদের বিবেক দিয়ে কাজ করবেন। আপনারা অবশ্যই দেশ ও জাতির স্বার্থ রক্ষার্থে অগ্রাধিকার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখবেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে তিনি অনেক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। পুনর্গঠনের শুরুতেই বঙ্গবন্ধু জ্ঞানভিত্তিক ও কর্মমুখী সার্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে দেশকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারায় এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং জনসংখ্যাকে জনসম্পদে পরিণত করতে শিক্ষার সম্প্রসারণে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
ডিগ্রি অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার পরিপূরক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ শিক্ষাকে সেশনজট মুক্ত রাখা এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড সম্প্রসারণে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।